📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জন্মের আগে থেকেই তুলনা চলছিল দেড় দশক আগে সৃষ্ট তীব্র ঘূর্ণিঝড় আয়লার সঙ্গে। তুলনাটা চলে মূলত শক্তির নিরিখে। আবহবিদদের পূর্বাভাস, আয়লার মতো দানাও হবে তীব্র ঘূর্ণিঝড় এবং তার জেরে ঝড়ের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। কিন্তু, দানার গতিপথ কী হবে এবং শেষমেশ ল্যান্ডফল কোথায় হবে? তবে বুধবার দানার জন্মের পরে তার সর্বশেষ গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে হাওয়াবিদদের বক্তব্য, বাংলার কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাচ্ছে তীব্র ঘূর্ণিঝড়।
প্রসঙ্গত, মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার সোমনাথ দত্ত জানান, বৃহস্পতিবার বেশি রাত থেকে শুরু করে, শুক্রবার ভোরের মধ্যে ওডিশার ভিতরকণিকা এবং ধামরা বন্দরের মাঝে ২০-২৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দিয়ে ‘দানা’ ল্যান্ডফল করতে চলেছে। ফলে ২০০৯-এ আয়লার ধাক্কায় যে ভাবে বিপর্যস্ত হয় সুন্দরবন, এবার সেটা হচ্ছে না বলেই মত আবহবিদদের। তবে ওডিশার মতো প্রভাবিত না-হলেও আজ এবং আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ‘ভারী’ থেকে ‘চরম ভারী’ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ দিনের বেশির ভাগ সময় ধরে ঘণ্টায় ১২-১৩ কিমি গতিতে এগিয়েছিল উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর। এ দিন সকাল থেকেই মৌসম ভবন ও আলিপুর হাওয়া অফিসের আবহবিদরা একাধিক ওয়েদার মডেলে নজর রেখেছিলেন ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ট্র্যাজেক্টরি দেখতে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের এলাকা এবং সময়ের মতন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু’টো বিষয় সম্পর্কে গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু জানায়নি মৌসম ভবন।
বাংলার কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে ‘দানা’, কোন জেলায় প্রভাব পড়বে বেশি? জানুন বিস্তারিত
