ফিরলেন সাসপেন্ড হওয়া জুনিয়র চিকিৎসকরা

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কলকাতা হাইকোর্টে আপাতত ‘স্বস্তি’ মিলেছে। কিন্তু আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ফিরেই সেই ‘স্বস্তি’ উধাও হয়ে গেল থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত চিকিৎসক পড়ুয়ারা। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে বুধবার তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। পড়তে হয় বিক্ষোভের মুখে। দেওয়া হতে থাকে স্লোগান। যদিও সেইসবের মধ্যেই সাসপেন্ড হয়ে যাওয়া চিকিৎসকদের দাবি, ‘থ্রেট কালচার’, ‘থ্রেট কালচার’ বলে হইচই করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলি পুরোপুরি ভুয়ো। ঠিকঠাক প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন সাসপেন্ড হয়ে যাওয়া চিকিৎসক পড়ুয়ারা।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে থ্রেট চালানোর অভিযোগে যে ৫১ জনকে সাসপেন্ড এবং বহিষ্কার (১০ জনকে বহিষ্কার ও ৪১ জনকে সাসপেন্ড) করেছিল কলেজ কাউন্সিল, সেটার উপরে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।মঙ্গলবার হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ জানায়, বিশেষ কলেজ কাউন্সিল যে যে নির্দেশ দিয়েছে, সেটা কার্যকর করার ক্ষমতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের নেই। রাজ্য সরকারই সেই কাজটা করতে পারে। অর্থাৎ রাজ্যের হাতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। আর যতক্ষণ না রাজ্য সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ততক্ষণ ওই ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারের সাসপেনশন এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।
সেই মামলার শুনানিতে সাসপেন্ড হয়ে যাওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী দাবি করেন, কোনও তদন্ত করা হয়নি। শুধুমাত্র রেসিডেন্ট ডক্টরস সমিতির অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁর মক্কেলদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি যুক্তিহীন বলে দাবি করেন আইনজীবী। পালটা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের আইনজীবী দাবি করেন, থ্রেট কালচার চলছে বলে ৫০০ জন চিকিৎসক পড়ুয়া অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যে কলেজ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার প্রস্তাব রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে।

error: Content is protected !!