📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে সাগরদ্বীপে বা পুরীতে ল্যান্ডফল করতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। তখন ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিমি।
হাওয়া অফিসের এই সর্তকতার জেরে বিপর্যয় মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপতায় পথে নেমেছে প্রশাসন। ওড়িশার পুরী থেকে বাংলার দিঘা, মন্দারমনি, বকখালি, কাকদ্বীপ- প্রশাসনিক ব্যস্ততা তুঙ্গে। বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে পর্যটকদের পুরী ছাড়ার ঘোষণা করেছে ওড়িশার প্রশাসন। একইভাবে বুধবার বেলা ১২টার মধ্যে পর্যটকদের হোটেল ছাড়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে দিঘা, মন্দারমনি, বকখালি, কাকদ্বীপে।
প্রশাসনের নির্দেশে দিঘায় ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত বুকিং ক্যানসেল করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। সন্ধের পর থেকেই সমুদ্র পারে শুরু হয়েছে পুলিশি টহলদারি। হোটেলে হোটেলেও চলছে নজরদারি। বস্তুত, ওড়িশার পার্শ্ববর্তী এলাকা হল পূর্ব মেদিনীপুর।
অতীতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দিঘায় ক্ষয়ক্ষতির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন। সমুদ্র উপকূল বর্তী এলাকা থেকেও মানুষজনকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই। তথৈবচ হাল মন্দারমনি, বকখালি, কাকদ্বীপে। জেলা প্রশাসনের তরফে দিনভর প্রচারের পর রাতেও চলছে নজরদারি। সমুদ্র পারে থাকা দোকানগুলিও ইতিমধ্যে সরানো হয়েছে।
অতীতে ইয়াস, বুলবুল, আমপানের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সমুদ্র সংলগ্ন এলাকাগুলিত। স্বভাবতই, ঝড় আসছে, এটা শুনেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে সমুদ্র সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, “আমরা একদিন আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ২৩ তারিখ থেকেই সমুদ্র সংলগ্ন এলাকায় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বন্ধ রাখা হবে ফেরি সার্ভিসও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাত জেলায় পাঠানো হচ্ছে প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিদের।”
ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।