সন্দীপ ঘোষ – অভিজিৎ মণ্ডল – সঞ্জয় রাই, ত্রিকোণ সম্পর্কের সমীকরণে জোর এবার সিবিআইয়ের

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে সঞ্জয় রায়ের যোগসূত্রের খোঁজে রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এদিকে সন্দীপ এবং অভিজিতের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু তাতে রাজি হননি ধৃতরা।এদিকে আদালতে সিবিআই দাবি করেছে, ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল থেকে কিছু ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। সেই ভিডিয়োগুলি নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন বলে আদালতে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে শিয়ালদা আদালতের তরফ থেকে ধৃতদের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই দাবি করেছে, আজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে একাধিক ফোনকল করা হয়েছিল। কয়েকজন সাক্ষীকে ফোন করেন তাঁরা। এই বিষয়গুলি এখন বেশি করে খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, এঁরা জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন এবং প্রমাণ লোপাট করতে পারেন।সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সন্দীপ কিংবা অভিজিতের কোনও যোগসাজশ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। এদিকে সঞ্জয়ের বিষয়ে সিবিআই আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘সঞ্জয় রায়ের কিছু বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স মিলেছে। ঘটনাস্থল থেকে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।’ অপরদিকে হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি করা থেকে শুরু করে শবদেহ পাচারের অভিযোগ রয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। এছাড়া আরজি করের খুনের ঘটনায় টালা থানার ওসি অভিজিতের সঙ্গে মিলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটেও সন্দীপের ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁদের জেল হেফাজতে রেখে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন সিবিআই আইনজীবী। সিবিআইয়ের সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *