📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতেই বেধড়ক মার খেতে হল এক আইনজীবীকে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বরাবরই জনপ্রিয়। তাহলে এই স্লোগান দিলে মার খেতে হবে কেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে এবার এই স্লোগান দেওয়ার জেরেই মার খেত হল এক আইনজীবীকে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। খোদ আদালত চত্বরেই এমন ঘটনা ঘটায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে জয় বাংলা স্লোগান দেন এক আওয়ামি লিগ ঘনিষ্ঠ আইনজীবী। সেটার বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। আর তখনই দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।
এখন বাংলাদেশে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এবার তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সেখানে এখন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার চলছে। আটটি জাতীয় ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা কিনা শেখ হাসিনা পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আর এই আবহে আজ ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতে মামলার শুনানির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম–সহ আওয়ামি লিগের কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে হাজির করা হয়। তখন ওখানে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই ওঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। আর বিপত্তি শুরু হয়।
এই ঘটনা অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। আর তা দেখে চমকে যান উপস্থিত জনগণ। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজন জানান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে শুনানি শেষে আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন আইনজীবী এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ‘জয় বাংলা’স্লোগান দিয়ে বসেন। ব্যস, শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। আর তখন বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের তুমুল বচসা শুরু হয়। বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী ফরিদুজ্জামানকে ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে অপর কয়েকজন আইনজীবী ফরিদুজ্জামানকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতন হতেই সেখানে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিএনপি। এখন তাঁদের আধিপত্য বেশি দেখা যাচ্ছে। সেখানে হিন্দুদের উপরও আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। এই আবহে এমন ঘটনা ঘটায় আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পুলিশ সেখানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত সোমবার বিচারের কাজ চলাকালীন আদালতের বাইরে আওয়ামি লিগপন্থি আইনজীবীরা নানা দলীয় স্লোগান দেয় বলে অভিযোগ। তা শুনতে পেয়ে বিচারক ক্ষোভ উগরে দেন।