📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: এতদিনে খুলল ‘আইনের চোখ’! এবার আর চোখ বুজে ন্যায়বিচার দেবেন না ‘লেডি অফ জাস্টিস’। এক হাতে দাঁড়িপাল্লা ও অন্য হাতে সংবিধান নিয়ে, চোখ খুলে চারদিক দেখেশুনেই অপরাধের বিচার করবেন তিনি। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে এই বদল ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টে।
জানা যাচ্ছে, এতদিন হাতে দাঁড়িপাল্লা ও তলোয়ার ধরা এবং চোখে কালো পটি বাঁধা ন্যায়ের যে মূর্তি দেখা গেছে, তা বদলে যাবে দেশে। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে নতুন মূর্তি বসে গিয়েছে। বিচারপতিদের লাইব্রেরিতে ন্যায়ের নতুন মূর্তিটি বসানো হয়েছে। শ্বেতশুভ্র সেই নারীমূর্তির চোখে কোনও পটি বাঁধা নেই।
বস্তুত, আইনের চোখে সকলেই সমান– এটা বোঝানোর জন্যই চোখ বাঁধা মূর্তির প্রচলন ছিল। বিচারের সময়ে যাতে কারও জাতি, বর্ণ, শ্রেণি, ক্ষমতা, সম্পদ, সামাজিক অবস্থান– এসব আইনের চোখে ধরা না পড়ে, সকলকেই সমান চোখে দেখে বিচার করা হয়, সে জন্যই প্রতীকী ভাবে বাঁধা ছিল চোখ। দাঁড়িপাল্লা ছিল ভারসাম্য বোঝাতে। আর তলোয়ার ছিল, শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা হিসেবে।
তবে এবার বদল ঘটল তাতে। অনেকেই মনে করছেন, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ইংরেজদের তৈরি করা একটা ধারণায় বদল আনতে চাইছেন। ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের বদলে যেমন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা চালু হয়েছে, এটাও তেমনই বদল।
পাশাপাশি, এই বার্তাও দেওয়া হচ্ছে, যে আইনের চোখ বাঁধা নয়, আইন অন্ধ নয়। আইন চোখ খুলেই সকলকে সমান চোখে দেখে বিচার করে। আবার মূর্তির হাতে এতদিন যে তলোয়ার ছিল, সেটিকেও হিংসার প্রতীক বলে মনে করছেন প্রধান বিচারপতি। তাই তাঁর বার্তা, আইনের চোখে হিংসা অপ্রয়োজনীয়। বরং সংবিধান অনুযায়ীই বিচার হওয়া জরুরি। তাই ন্যায়মূর্তির হাতে তলোয়ারের পরিবর্তে সংবিধান থাকছে এখন থেকে।
তবে ন্যায়মূর্তির ডান হাতে আগে যেমন দাঁড়িপাল্লা ছিল, তেমনই আছে। ভারসাম্যের চিহ্নক ওই দাঁড়িপাল্লা বোঝায়, দু’পক্ষের কথায় সমান গুরুত্ব দিয়ে শুনে বিচার করে আদালত। কোনও এক দিকে ঝুঁকে থাকে না আইনি বিচার।