📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। মঙ্গলবার সেই মামলার প্রেক্ষিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের আইনি ব্যাখ্যা তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারডিওয়াল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এ দিন তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই।মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘থানা, স্কুল, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁরা ডিউটি করেন কি না, রাজ্যকে তা আদালতের কাছে জানাতে হবে।’ ফলে আগামী দিনে রাজ্যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অন্য কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘যাচাই না করে সিভিক নিয়োগ এবং তাঁদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া রাজনৈতিক পক্ষপাতের নমুনা।’ আদালত লিখিত ভাবে রাজ্যের কাছে জানতে চায়, পশ্চিমবঙ্গে মোট কতজন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন, কারা সিভিকদের নিয়োগ করেন, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, এবং কীভাবে এদের বেতন দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী প্রশ্ন তোলেন, ‘ভুলে যাবেন না, এই ঘৃণ্য অপরাধ যে করেছে, সে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার৷ ২০১১ সালের আইন অনুযায়ী এদের নিয়োগ করা হয়েছে কি?’প্রধান বিচারপতি দিওয়ালির পরের শুনানিতে রাজ্যকে হলফনামার আকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেন৷
রাজ্যে বর্তমানে ১ লক্ষ ৪০ হাজারের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। প্রায় আট বছর আগে ২০১৬ সালের ২০ মে একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের মতো একই প্রশ্ন তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্টও। তৎকালীন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ সে বছরের ৩১ ডিসেম্বর গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন। তাঁর নির্দেশ ছিল, নতুন করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করতে হবে।
রাজ্যের তরফে বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই রায় চ্যালেঞ্জ করা হয়। টেকনিক্যাল কারণ দেখিয়ে লক্ষাধিক নিয়োগ বাতিল করা হলে সেই সময়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরাই।