📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচার চেয়ে গান গেয়েছিলেন। সেজন্য তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কাশীনাথ পান্ডা নামে এক যুবক। তিনি দাবি করেছেন যে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্র্যাফিক হোমগার্ড হিসেবে কাজ করতেন। অস্থায়ী পদে কাজ করতেন তিনি। সপ্তমীর দিনে তাঁকে চাকরি থেকে ‘টার্মিনেট’ করে দেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে পুলিশে কাজ করেন বলে তিনি কি কোনও ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারবেন না? পুলিশে কাজ করেন বলে মৌলিক অধিকার এবং বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হবে? আগামী শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সেই মামলার শুনানি হবে।
আর সেই যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে গত ২১ অগস্ট। কাশীনাথ দাবি করেছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচার চেয়ে সেদিন ফেসবুকে একটি গান পোস্ট করেছিলেন। জনপ্রিয় একটি ভক্তগীতিকে নিজের মতো করে গেয়েছিলেন। আর সেটাই রিলের আকারে পোস্ট করেছিলেন। তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল, ‘তুমি এবার ধরো খাঁড়া, মাঠে নামতে হবে। অসহায়-দুর্বলরা তবেই বিচার পাবে। মা গো তুমি খাঁড়া ধরো। তবেই বিচার পাবে। কালীঘাটের কালী তুমি, কৈলাসে ভবানী।’
সেই পোস্টের পর থেকেই তাঁকে লাগাতার হেনস্থা করা হতে পারে বলে দাবি করেছেন কাশীনাথ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভিডিয়োটি পোস্ট করার পর থেকেই তাঁর উপরে নানারকম অভিযোগ তোলা হতে থাকে। পোস্টটি যাতে মুছে দেন, সেই চাপ দিতে থাকেন উপরমহলের কর্তারা। মানসিক চাপ তৈরি করা হতে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।কাশীনাথ আরও অভিযোগ করেন, বিনা অভিযোগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁকে হুমকি দেওয়া হতে থাকে। পরিবারের নামেও হুমকি দেওয়া হয়। চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হতে থাকে। তাতেও ভিডিয়োটি ডিলিট না করায় ১০ অক্টোবর (সপ্তমী) তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন কাশীনাথ।
তিনি প্রশ্ন করেছেন, পুলিশে কাজ করেছেন কি শিরদাঁড়াটা ন্যূনতম সোজা রাখতে পারবেন না? অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যূনতম প্রতিবাদও করতে পারবেন না? তবে চাকরি থেকে ‘টার্মিনেট’ করা হলেও নিজের পোস্ট মুছে দেননি কাশীনাথ। তাঁর ফেসবুকে এখনও সেই ভিডিয়ো আছে। কাশীনাথের আইনজীবী পিন্টু কাঁড়া জানিয়েছেন, কাশীনাথকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে।