দ্রোহের কার্নিভাল, আদালতে মুখ পুড়লো রাজ্যের, মুখে হাসি ডাক্তারদের

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: একদিকে রেড রোডে রাজ্য সরকারের কার্নিভালকে কেন্দ্র করে আটোসাটো নিরাপত্তা। আমন্ত্রিত দেশ বিদেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ। আর অন্যদিকে দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্যসচিব তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করলেও এর জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত মুখে হাসি জুনিয়র ডাক্তারদের। জুনিয়র ডাক্তারদের দ্রোহের কার্নিভাল রুখতে কলকাতা পুলিশের জারি করা ১৬৩ ধারা পত্রপাঠ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রবি কিশনের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, মিছিল করা নাগরিকের মূলগত অধিকার। রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগ করে একে হরণ করা যায় না।

এই খবর ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে পৌঁছতেই রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন চিকিৎসক ও আন্দোলনে যোগদানকারী সাধারণ মানুষরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রোহের কার্নিভাল হবেই। আর সেই কার্নিভাল শান্তিপূর্ণভাবে করানোর দায়িত্ব পুলিশের। আদালত নির্দেশ দিতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মতলায় তৈরি ব্যারিকেড সরানোর কাজ শুরু করে পুলিশ।

শুনানি শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সরকার আদালতের এক রায়কে ব্যবহার করে ১৬৩ ধারা জারির সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে চেয়েছিল। তাদের দাবি ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচির জেরে অশান্তি ছড়াতে পারে। আমরা বলেছি কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। তেমন হলে দুই কার্নিভালের মধ্যে ব্যারিকেড করা যেতে পারে। কিন্তু ১৬৩ ধারা জারির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি।এদিন আদালত জানিয়েছে, মিছিল করা নাগরিকের মূলগত অধিকার। মিছিলকে এভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগ করে রোখা যায় না। একথা বলে সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার জারি করা নির্দেশিকা খারিজ করে দেন বিচারপতি।