📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: আগামী বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো, বাংলার প্রতিটি ঘরে মা লক্ষ্মীর আরাধনা হবে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেবরা লক্ষ্মীপুজোয় ব্যস্ত থাকেন। আর তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অপরাজিতা আঢ্য। নিজের হাতে নতুন পোশাক ও গয়নায় পরিয়ে গৃহলক্ষ্মীকে সাজিয়ে তোলেন। বলাবাহুল্য, প্রতিবারই জাঁকজমক করে বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর করেন অভিনেত্রী অপরাজিতা। আলপনা থেকে অতিথি আপ্যায়ন সবটাই একা সামাল দেন, আর পাশে থাকেন শাশুড়ি মা। বহু জনপ্রিয় তারকা থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমের কর্মী এবং পাড়ার সকলেই আমন্ত্রিত থাকেন অভিনেত্রীর বাড়ির পুজোয়। কিন্তু এবারের চেনা ছবিটা কিছুটা আলাদা। পুজো করবেন কিন্তু তা আড়ম্বর বিহীন ভাবে। বিজয়ার পরই সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিবৃতি দিয়ে সেই কথা জানালেন অভিনেত্রী।
এদিন অভিনেত্রী লেখেন, ‘কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর ফটফটে পূর্ণিমা রাতে লক্ষ্মী দেবী মর্ত্যলোকে অবতরণ করে ঘরে ঘরে আসেন। জিজ্ঞেস করেন, ‘কে জাগো?’ যে জেগে থাকে তার ঘর বৈভবে পূর্ণ করে চলে যান লক্ষ্মী দেবী। এই বৈভব প্রকৃত অর্থেই যে মননের বৈভব, আর এই জাগরণ যে চেতনার নবজাগরণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।’
এরপরই আরজি কর কাণ্ড এবং মেয়েদের ‘রাত দখল করো’ নিয়ে বলেন, ‘কিন্তু এমন এক সময়ের সম্মুখীন আমরা যখন আমাদের ঘরের লক্ষ্মীরা দেবীপক্ষের অনেক আগে থেকেই আত্মপক্ষের লড়াই বুকে বেঁধেছে, প্রতি রাতে রাজপথে রাজপথে প্রশ্ন চিহ্ন রেখেছে, ‘কার চেতনা জাগ্রত? কে আছো এই নবজাগরণের লড়াই মাথায় ধারণ করবে?’
অভিনেত্রী এদিন এও জানান অন্যান্য বছরের মতন এবছর আর লক্ষ্মী পুজোর উদযাপনে সকলকে সঙ্গে নিতে পারবেন না। অপরাজিতা বলেন, ‘সকলেই জানেন, বিশেষত আমার মিডিয়া বন্ধুরা খুব ভালো করেই জানেন যে কোজাগরী পুজোর এই বিশেষ দিনে আমি, অপরাজিতা, বিশেষ উদযাপনের ব্যবস্থা করি। কিন্তু এই বছরটা উদযাপন থাকছে না। যে সময়ে রক্ত মাংসের লক্ষ্মীদের এত অবমাননা প্রতিনিয়ত, সেই সময়ে উপাসনা থাকলেও লক্ষ্মী দেবীর পুজো উদযাপন খানিকটা নিরর্থক। তাই অনেক ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম, মিডিয়া বন্ধুদের যদি পুজোর ছবি ও ভিডিওর প্রয়োজন হয়, আমার গণমাধ্যম দল বিশেষ ভাবে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবে। লক্ষ্মী দেবী সকলকে চেতনার বৈভব প্রদান করুন, এই কামনা করি।’