📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: চলতি বছর পুজোর আগে উৎসবে বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া। দুর্গাপুজোর ঠিক আগের সপ্তাহ থেকেই পুজোর আনন্দ পুরোপুরি মাটি করছে বৃষ্টি, এমনই পূর্বাভাস ছিল হাওয়া অফিসের। ইতোমধ্যে প্রচুর বৃষ্টিতে ভেসেছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃষ্টির পর আবার ডিভিসি জল ছাড়ায় কোথাও কোথাও বন্যা পরিস্থিতি। আর তাতে ভেসে গিয়েছে বহু চাষের জমি, নষ্ট হয়েছে বহু শস্য। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষও। আর সেটাই এখন পুজো উদ্যোক্তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চিন্তা সন্ধিপুজোর পদ্ম নিয়ে। ১০৮টি পদ্ম জোগাড়ের পাশাপাশি দামও কতটা চড়বে, তা নিয়ে ভাবনায় উদ্যোক্তাদের। পাশাপাশি, হতাশ চাষিরাও। এবছর বোধহয় আর পদ্ম বিক্রি করে তেমন লাভ হবে না।
প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের পাশাপাশি ডিভিসির ছাড়া জল – এই জোড়া ফলায় এবার পুজোর আগে ভেসে গিয়েছে কৃষিজমি। ফলন ভালো হয়নি পদ্মেরও। আগামী সপ্তাহেই দুর্গাপুজো। তার আগে যতটা সম্ভব, ফুটে ওঠা পদ্ম তুলে ফেলতে চাইছেন চাষিরা। কারণ, আবার বৃষ্টিতে ফের যদি নষ্ট হয়। আবার তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে গেলেও ফুল বেশিক্ষণ ভালো থাকবে না। তাই পদ্ম তুলে তা রাখা হচ্ছে হিমঘরে। সবমিলিয়ে এবারের পুজোতে ফুল চাষের খরচের টাকা উঠবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত চাষিরা।
এ বিষয়ে চাষিরা বলছেন, পদ্ম চাষের জন্য ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা দিয়ে পুকুর নিতে হয়। তার উপর কীটনাশক দিতেও খরচ হয়। তাই ফলন ঠিকমতো না হলে এমনিই লোকসান হয়। তারপর আবার এই ফুল হিমঘরে রাখতেও ব্যয় করতে হয়। পুজোয় পদ্ম বিক্রি করে সেসব অর্থ আসবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা। সাধারণত এক একটি পদ্ম ফুলের দাম থাকে ১০ থেকে ১২ টাকা। কিন্তু এবছর ফলন কম। তাই দাম একটু বেশি থাকবে বলেই মনে করছেন চাষিরা। আর উদ্যোক্তাদেরও চিন্তা, বাড়তি টাকা খরচ করলেও কী ঠিকমতো পদ্ম পাওয়া যাবে?