📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: চলতি বছর একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো উদ্বোধন করতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলাবাহুল্য, প্রতিবছরই একডালিয়ার দুর্গা পুজার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একসময় এই পুজোর অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এই এলাকায় একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো আমজনতার কাছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো নামেই পরিচিত। একডালিয়ার পুজোয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ছন্দাবাণী মুখোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে স্মৃতিচারণা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “সুব্রতদার মতো মানুষ গেলে আর ফিরে আসেন না।”
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এরপর যখনই একডালিয়া এভারগ্রিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন তাঁর মুখে বারবার উঠে এসেছে সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রয়াত মন্ত্রী ছোট বোনের মতোই স্নেহ করতেন বলেও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। একই সঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আসার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের তাও মুখ্যমন্ত্রী সবসময় স্বীকার করেন। তাদের দাদা-বোনের সম্পর্ক নিয়ে সময় সুযোগ হলেই গল্প উঠে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
এদিন পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখানে আসলেই খারাপ লাগে। হৃদয়ে একটা দুঃখ অনুভব করি। সুব্রতদা নেই ভাবতে পারি না। ছোটবেলায় যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম তখন রোজ নিয়ম করে সুব্রতদার বাড়ি আসতাম সকাল ন’টায়। বৌদি সব জানেন। ছাত্র রাজনীতির সেই দিনগুলো আমি নিশ্চয়ই ভুলব না। খোলামেলা দিলখোলা মনের মানুষ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এমন মজা করে কথা বলতেন দুঃখের মধ্যেও হাসিয়ে দিতেন।” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “এই ধরনের মানুষগুলো একবার চলে গেলে আর ফিরে আসেন না।”
এদিন উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি খুশি যে, বাংলাকে ক্লাসিকাল ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১০ বছর ধরে লড়াই করেছি, আজ আমি খুশি। আমি গবেষণা করে দিয়েছিলাম, আমাদের গবেষণাপত্রকে অস্বীকার করতে পারেনি কেন্দ্র।”