📝শুভদীপ রায় চৌধুরী , Todays Story:এবার দক্ষিণ কলকাতার লেক থানা এলাকায় এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। এই মামলায় অভিযুক্ত ৬ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হল পুলিস কমিশনারকে। শুধু তাই নয়, মামলার রায়ে যে পর্যবেক্ষণ কোর্ট দিয়েছে, তা তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, যৌন-নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক ভাবে লঘু ধারায় এফআইআর হওয়ায় মামলা আরও দুর্বল হয়েছে। এছাড়া, সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগপত্র বিকৃত করারও অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে।
এর ফলেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে তদন্তের স্বচ্ছতা। এই মামলায় পুলিসি তদন্তে ত্রুটি এবং অভিযুক্তকে সুবিধে করে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে কার্যত সিলমোহর দিয়েছে হাইকোর্ট। তাছাড়া, ওই আইএএস-এর কর্ম ভিন রাজ্যে, তিনি এই রাজ্যের ক্যাডারও নন। তবে কেন কোর্টের তোপের মুখে পড়ল কলকাতা পুলিস? বিচারপতি ভরদ্বাজের বক্তব্য যে, নিগৃহীতাকেই থানায় বসে শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্তের পরিবারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে কোনও তদন্তই হয়নি। ঘটনার পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করায়নি পুলিস।
আই-এ-এস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণ!! তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হাইকোর্টের
