📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: আর কয়েকদিন পরই মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা৷ মহালয়ার দিনই আরজি করে নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনা করে ‘তর্পণে তিলোত্তমা’ কর্মসূচির ডাক দিলেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। এদিন যেমন দেবীর আগমনের সুর বাজবে তেমনই সেদিন পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণের রীতি রয়েছে। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে সাধারণ মানুষের তর্পন, এ এক চেনা ছবি। আর এবার পিতৃপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি আরজি করের অভয়ার আত্মার শান্তি কামনা করবেন ডাক্তাররা।
প্রসঙ্গত, শনিবার এমনই আবেদন জানালেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি, আবারও পূর্ণ কর্মবিরতি ডাক দিলেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। সোমবার বিকেল থেকেই সম্পূর্ণভাবে কর্ম বিরতির ডাক দিলেন চিকিৎসকরা। এদিন চিকিৎসদের একাংশ এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৫১দিন। নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন চিকিৎসকরা শুরু করেছিলেন তা আজ দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে। তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে আন্দোলন ৷ তবুও এখনও বিচার হয়নি নির্য়াতিতার।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে জুনিয়ার চিকিৎসক শিল্পী মণ্ডল বলেন, “আর কয়েকদিন পরই মহালয়া। এরপর রাজ্যব্যাপী মানুষজন উৎসবে মাতোয়ারা হবেন। তবে এবারের দুর্গাপুজোয় শুধুই বিষাদের সুর, কারণ তিলোত্তমা সবার মেয়ে। যাঁর ন্যায় বিচার ৫১দিন পেরিয়ে গেলেও হল না। তাই এবার জুনিয়ার চিকিৎসক থেকে শুরু করে সিনিয়র চিকিৎসক, সাধারণ মানুষ, ডাক্তারি পড়ুয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এবং অন্যান্য বিভাগের পড়ুয়ারা একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, তিলোত্তমা আত্মার শান্তির কামনায় আমরা তর্পণ করব৷”
শনিবার জুনিয়ার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্বপুরুষের নামে তর্পণ করার পাশাপাশি আরজি করের নির্যাতিতারও জন্য শান্তির কামনা করতে হবে। ‘তর্পণে তিলোত্তমা’ কর্মসূচির পাশাপাশি এদিন চিকিৎসকদের একাংশ জনসাধারণের কাছে আবেদন করেন, পুজোর সময় বেরিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্লোগান তুলুন, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ এবং ‘জাস্টিস ফর তিলোত্তমা’। তাঁরা এও জানান, প্রতিবাদের যে আগুন সকলের মননে লেগেছিল সেই শিখাকে নিভতে দেওয়া যাওয়া যাবে না।