📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story:সম্প্রতি নিরাপত্তার দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসকরা। তাঁদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবি ছিল অন্যতম। পরে যদিও, লাগাতার বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন ডাক্তাররা। ফের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে সোমবার বিকেল থেকেই ফের কর্মবিরতির ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকরা বলেন, “আমরা এর আগেও মিছিলের ডাক দিয়েছিলাম। ডি-সেন্ট্রালাইজ মিছিলের ডাক দিয়েছি। সেখান থেকে দাঁড়িয়েই আমরা বলছি আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় আমরা রিলে মশাল মিছিলের ডাক দিচ্ছি।”
এর পাশাপাশি, তিনি এও বলেন, “৫১ তম দিন হল তিলোত্তমা এখনও কোন বিচার পায়নি। প্রথম দিন থেকে আমরা রাজপথে নেমেছি সঠিক বিচারের দাবিতে। এরপর সরকারের তরফে কিছু প্রতিশ্রুতি পেয়ে এবং মানুষের কথা ভেবে আংশিক কর্মবিরতি চালাচ্ছিলাম। গতকাল এসএসকেএম-এর অডিটোরিয়ামে গণকনভেশনের ডাক দিয়েছিলাম। সেখানে সমস্ত স্তরের মানুষ এসেছিলেন। এরই মধ্যে শুনলাম সাগরদত্তে এক দল মানুষ এসে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে। একজন মরণাপন্ন রোগী আসেন হাসপাতালে। জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে দেখেন। এমনকী আইসিইউতে রেফার করা হয়, তবে ওকে বাঁচানো যায়নি। কিন্তু আমরা দেখলাম, স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর করা হল। আমরা বারবার বলেছি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। কিন্তু কিছু হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট বলার পরও সরকারের তরফে সদিচ্ছা দেখতে পেলাম না। ওই পেশেন্টের প্রাণ চলে যাওয়ার পর হামলা চালানো হল।”
সাগরদত্ত হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্তার অভিযোগে সোমবার থেকে ফের কর্মবিরতির ডাক জুনিয়ার চিকিৎসকদের
