📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: প্রতিবছরই বর্ষার মরশুমে প্লাবিত হয় দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, বর্ধমান, হুগলি সহ রাজ্যের জেলাগুলি। এবছর নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেলায় জেলায়। মাথার উপর ছাদ, চাষের জমি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে গ্রামের বাসিন্দারা। এই আবহে জোর তরজা চলছে ঘাটাল মা প্ল্যান নিয়ে। কেন্দ্র বনাম রাজ্য এর সংঘাতের মাঝে এবার উঠল বলাগড় মাস্টার প্ল্যানের দাবি। হুগলির সাংসদের খোদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলাগড় মাস্টার প্ল্যানের দাবি করেন। মানুষের ক্ষোভে মুখে বলাগড় মাস্টার প্ল্যানের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। এখন দেখার সেটা কবে বাস্তবায়িত হয়।
বুধবার সকালে হুগলির শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদরা কলোনি, মিলনগর গ্রামে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ কে কাছে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। তারা জানান, গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। পাড় ভাঙছে প্রতিনিয়ত। ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটে গ্রামবাসীদের। যাঁদের বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে, তাঁদের আবাসের ঘর এখনও মেলেনি বলে অভিযোগ জানানো হয় সাংসদকে।সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনমাস আগেও যেখানে দাঁড়িয়ে ভোটের প্রচার করেছি সেই জায়গা তলিয়ে গিয়েছে। কয়েকটি বাড়ি, রাস্তাও গঙ্গায় মিশে গিয়েছে। খুবই খারাপ অবস্থা। এলাকার মানুষকে ত্রাণ বন্টন করা হয়েছে। গঙ্গার ভাঙন রোধ বড় ব্যাপার। আমি লোকসভায় এ নিয়ে বলেছি। আবারও বলব। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া হবে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আদলে বলাগড় মাস্টার প্ল্যান করতে হবে।’ রচনার দাবি, ‘এর আগে যিনি সাংসদ ছিলেন তিনি কিছু করেননি। আমি চেষ্টা করছি।’
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এখনও হল না, এরই মধ্যে উঠলো বলাগড় মাস্টার প্ল্যানের দাবি!
