অনুব্রতর জামিনে উৎসবে মাতলেন তৃণমূল কর্মীরা, বিতরণ হল সবুজ রসগোল্লা, তৃণমূল নেতাকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে সম্বোধন ফিরহাদের

📝শুভদীপ রায় চৌধুরী , Todays Story: সম্প্রতি তিহাড় থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার খবর প্রকাশ‍্যে আসার পর থেকেই উৎসবে মেতেছেন ওই জেলার তৃণমূল কর্মীরা। জামিনের খুশিতে বিভিন্ন এলাকায় উড়ছে সবুজ আবির, সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে সবুজ রসগোল্লাও। বীরভূমের নানুরে প্রায় ৪০০ গ্রামবাসীকে খাওয়ানো হয়েছে খাসির মাংস ও ভাত। অন্যদিকে, বোলপুরের অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়িতে শুরু হয়েছে নতুন রঙ করার কাজও।

 প্রসঙ্গত, শুক্রবার বীরভূমের কেষ্টর জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতের বিচারক জ্যোতি ক্লেয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ভিত্তিহীন৷ চার্জশিটে যে সব তথ্য পেশ করা হয়েছে, তা অভিযোগ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয় এবং সবই অভিযুক্তদের বয়ান। পিএমএলএ-র ৫০ ধারার অধীনে এই বয়ান একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

 তাছাড়া, কবে মামলার ট্রায়াল শুরু হবে তাও কেউ জানে না৷ দু’বছরের বেশি সময় ধরে তাঁকে জেল বন্দি করে রাখা হয়েছে৷ একই সঙ্গে অনুব্রতর জামিন মামলায় আপ নেতা মনীষ সিসোদিয়ার প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘মনীষ সিসোদিয়ার ক্ষেত্রেও দিনের পর দিন অভিযুক্তকে জেল বন্দি রাখা হয়েছিল৷ তাঁর বিরুদ্ধেও কোনও অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি৷’

এমনকি, গোরু পাচারের ঘটনার সঙ্গে অনুব্রতর যোগাযোগ প্রমাণ করতে গিয়ে এমন সব ব্যাঙ্কের বিবরণী পেশ করা হয়েছে, যার কয়েকটি মূল ষড়যন্ত্রের আগের৷ এমনকী, যে সব কল ডিটেইলস রেকর্ড পেশ করা হয়েছে বা বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা পড়া, যে সব টাকার হিসেব দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রমাণ হয়নি৷

বলাবাহুল্য, জামিনের খবর পেতেই অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বীরভূমের বাঘ’ বলে সম্বোধন করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ বলেন,‘তিনি বীরভূমের বাঘ। বাঘ যখন খাঁচার ভিতরে থাকে তখন শেয়ালরা হাউমাউ করে। এ বার বিরোধীরা লেজ তুলে পালাবে।’