📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: রাজ্যে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ডিভিসি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন। তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পাল্টা তাঁকেই দুষে কড়া চিঠি দিলেন। তাঁর বক্তব্য, ডিভিসির ওপর দোষ না চাপিয়ে রাজ্যের উচিত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। একই সঙ্গে, রাজ্যের একাধিক জেলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য রিপোর্টও তলব করেছেন রাজ্যপাল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বন্যাকে ‘ম্যান মেড’ বলেছেন। ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন। কেন্দ্রীয় সরকার সব জেনে পদক্ষেপ করছেন না বলেও ক্ষোভ উগরেছেন তিনি। সব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। তার প্রেক্ষিতে জবাব দিয়ে কেন্দ্র অবশ্য সাফ জানায়, ডিভিসি জল ছাড়ার আগে সমস্ত নিয়ম মেনে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। এরপরই রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল বোস।
মুখ্যমন্ত্রীকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে চিঠি দিয়ে তিনি লিখেছেন, বাঁধ থেকে যদি জল না ছাড়া হয় তবে বাঁধের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই ডিভিসির ওপর দোষ চাপানো যায় না। তাঁর এও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে জেলাগুলির বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করছেন, সেই অঞ্চলগুলির তাদের অববাহিকার মধ্যেই পড়ে না! তাই রাজ্যপালের মত, ডিভিসির ওপর দোষ না চাপিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য রাজ্যের উচিত নিজের দায়িত্ব পালন করা।
বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ায় গিয়ে মমতা সাফ জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে তিনি ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন কিনা ভাববেন! তাঁর বক্তব্য ছিল, ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা আগের থেকে ৩৬ শতাংশ কমে গেছে। ড্রেজিং না করার জন্যই এমন হয়েছে। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাংলাকে ভাসানোর চেষ্টা হচ্ছে। মোদীকে দেওয়া চিঠিতে মমতা এও উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালের পর সবথেকে খারাপ বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে রাজ্য। দক্ষিণবঙ্গে বর্তমানে ১০০০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা বন্যা কবলিত। ৫০ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত।