পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পালটা জবাব জলশক্তি মন্ত্রকের

📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: সম্প্রতি ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত শুরু হয়েছিল। শুক্রবার তা আরও উসকে দিল প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নালিশ জানিয়ে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে। আর দুপুরের চিঠির জবাব এল রাতে। মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি লিখে কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক জানাল, একতরফাভাবে নয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের জানিয়েই জল ছেড়েছে ডিভিসি। তাই দোষারোপ নয়, পারস্পরিক সহযোগিতাই কাম্য, এমনই চিঠিতে লিখেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি আর পাটিল।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ‘ম্যান মেড বন্যা’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ডিভিসি আরেকটু সতর্ক হলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত। ২০০৯ সালের পর বাংলায় এত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলেই চিঠিতে দাবি করেন তিনি। পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে একক সিদ্ধান্তে মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা, বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জলের তলায়। দ্রুত নদীগুলির ড্রেজিং করারও জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, এরই পালটা চিঠি এল শুক্রবার রাতেই। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিল  চিঠি লিখে বোঝাতে চাইলেন, যা অভিযোগ রাজ্যের তরফে করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। ঝাড়খণ্ড-বাংলার মধ্যে যেসব জলাধার রয়েছে, সেখান থেকে জল কখন কীভাবে ছাড়া হবে, তা ‘দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি’ নামক একটি কমিটির দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই কমিটিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সরকারের ইঞ্জিনিয়াররা রয়েছেন। এই কমিটির সম্মতিতেই জল ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের এও দাবি, ১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর যে পরিমাণ জল ছাড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল, রাজ্যের অনুরোধে তার থেকে ৫০% কম জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ১৬ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়।