📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে কোটি কোটি টাকা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃণমূল কাউন্সিলর। বারাসাত পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দারের বিরুদ্ধে এবার ত্রিপুরার ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বিরাট অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ীকে খড়দার একটি আবাসনের পার্কিং লট থেকে অপহরণের ঘটনা রীতিমত হইচই ফেলেছিল। এক পরিচিতের বাড়িতে এসেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সময়ই আবাসনের নিচে পার্কিং লট থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। তারপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস ও পরে সিআইডি। আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৭ জনকে। এবার তাদের জেরা করে গ্রেপ্তার করা হল বারাসাত পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিলন সর্দারকে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে অস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কতীরা। এর পরে তাঁকে আটকে রাখা হয় বারাসাতেরই এক আবাসনের ফ্ল্যাটে। সূত্রের খবর, গত ২ সেপ্টেম্বর খড়দার অভিজাত আবাসনে ছিলেন ত্রিপুরার ওই ব্যবসায়ী। সেই সময় বাড়ির পার্কিং লট থেকে তাঁকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। রীতিমত ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি আসে অপহরণকারীদের তরফে। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে খড়দা থানা এবং পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি।
এরপরই বারাসাত থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় ৭ জনকে। এই ৭ জন বারাসাত ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের সহযোগী। তাঁদের কথাবার্তার সূত্র ধরেই গোয়েন্দা অফিসাররা তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে অপহরণের পরিকল্পনার যোগসূত্র পপান। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার ব্যবসায়ীর অপহরণের ঘটনায় মূলচক্রী হিসেবে এফআইআর-এ নাম ছিল শাসকদলের কাউন্সিলরের। ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে চম্পট দেন তিনি। ১৯ তারিখ রাতে কাউন্সিলর মিলন সর্দারের এলাকায় ফিরলেই খবর পেয়ে যান সিআইডি কর্তারা। তারপরই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা।