‘এসমা হাতে রয়েছে, কিন্তু করব না, আন্দোলনকে সম্মান দিতে জানি’, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ডেডলাইন ছিল ১০ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৫টা । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না ফিরলে, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিলে, তাতে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না । সেই ডেডলাইন পেরিয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে । কাজে ফেরেননি জুনিয়র ডাক্তাররা । তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরাতে কি এবার এসমা প্রয়োগ করবে সরকার ? বৃহস্পতিবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, এসমা রয়েছে তাঁদের হাতে । তাঁরা প্রয়োগ করতেই পারেন । কিন্তু, করবেন না । কারণ, এসমা সমর্থন করেন না তিনি । দানবিকতা নয়, মানবিকতাতেই বিশ্বাসী বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বারবার ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে । অনেকেই কাজ করছেন না । সাত লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাননি । এত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। তাঁর হৃদয় কাঁদছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করালেন কোন্নগরের বিক্রমের কথা । মমতা বললেন, “ছেলেটার ২ টো পা দিয়ে রক্তের বন্যা, কেউ মায়া করেননি।” প্রশ্ন তুললেন, আর কত মানুষ এভাবে ভোগান্তির শিকার হবেন?
তাঁর অনুরোধ, আর যেন বাংলায় কোনও মৃত্যু না হয় ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকে আলোচনায় আগ্রহী ছিলেন । কিন্তু বাইরে থেকে নির্দেশ আসছিল । দু’তিন জন রাজি হয়নি। আমি মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘এরকম ঘটনা কোথাও ঘটেনি । উত্তরপ্রদেশে ৬ মাস ব়্যালি ব্যান্ড করে দিয়েছিল । আমাদের কাছে এসমাও আছে, সবকিছু আছে । কিন্তু আমি করব না । আমি এই এমার্জেন্সিকে সমর্থন করি না । আমি দানবিকতাকে সমর্থন করি না । আমি একজন মানবিক মানুষ । আর আন্দোলনে আমার জন্ম হয়েছে । আমি আন্দোলনকে সম্মান দিতে জানি । কিন্তু, আন্দোলন করলে তার সমস্যা যেমন হয়, সমাধানও হয় ।’

তবে, এই এসমা কী ? জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরাতে কোন পদক্ষেপ করতে পারে প্রশাসন ?

এসমা হল, এসেনশিয়াল সার্ভিস মেন্টেন্যান্স অ্যাক্ট ।চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কর্মবিরতি, ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হতে পারে । প্রয়োজনে কর্মচারীদের জন্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে প্রশাসন ।

error: Content is protected !!