📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: বর্তমানে আরজি কর নিয়ে তোলপাড় বাংলা। লাগাতার জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন এবং আমজনতার প্রতিবাদ, চিন্তায় পড়েছে রাজ্য প্রশাসন। আর সামনেই দুর্গোৎসব। আর পুজো মানেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের আলাদা আকর্ষণ। পুজোর বহু আগে থেকেই মানুষ খোঁজ রাখেন এ বার কি থিমে হবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে? সে সব নিয়ে চলতি বছর তেমন উত্তজনা না থাকলেও অন্য জল্পনা রয়েছে। মহানগরে শাসকদলের নেতা, মন্ত্রীদের পুজোর ভিড়ে এই পুজোই একমাত্রই বিরোধী শিবিরের। প্রধান উদ্যোক্তা ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ।
কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের জেরে এখন কি তেমন জাঁকজমক উৎসন করবেন সজল? আগে থেকেই ঘোষণা করা ‘আশ্চর্য গোলক’ মণ্ডপ হবে তো? বিগত পুজোয় এখানে হওয়া রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ দেখতে বিপুল ভিড় হয়েছিল। উদ্বোধনে এসেছিলেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার কী হবে? এই আবহে সজল বলেন, ‘‘উৎসব হবে, তবে সেটা প্রতিবাদের উৎসব।’’
উল্লেখ্য, চলতি বছর পুজো নিয়ে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের সঙ্গে আগেই সংঘাত শুরু হয়েছে কলকাতা পুলিসের। প্রতিবারই মণ্ডপের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। তাই এবার দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শর্ত। স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, সিসিটিভির সংখ্যা বৃদ্ধি, দর্শনার্থীদের প্রস্থানের জায়গা বড় করার মতন একাধিক শর্ত দেওয়া হয়েছে। পুলিসের তরফে বলা হয়েছে যে, মণ্ডপের সামনের দিকে মাঝামাঝি অংশে পুলিসের জন্য একটি বিশেষ মঞ্চ করতে হবে, সেখান থেকেই যেন নজরদারি চালানো যায়। ভিড়ের সময় কমিটির তরফে কম করে ২৫০ জন এবং ভিড় না থাকলে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। ৩৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বলে হয়েছে, গত বছর ১৪টি সিসিটিভি ছিল। এই মণ্ডপ দর্শনের পরে একটি সরু গলি দিয়ে দর্শনার্থীদের বার হতে হয়। তাতেও খানিক আপত্তি পুলিসের। একই সঙ্গে বলা হয়েছে মণ্ডপের বাইরের অংশে কোনও স্টল দেওয়া যাবে না, এখন অবশ্য বড় হয়ে উঠেছে অন্য প্রশ্ন।