📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: যত দিন যাচ্ছে ততই তীব্র হচ্ছে প্রতিবাদ, নির্যাতিতার সঠিক বিচারের দাবিতে রাজপথে নামছেন আমজনতা। ১১ সেপ্টেম্বর,এই দিনেই শিকাগো শহরে বিশ্বের সকলের সামনে হিন্দুধর্ম এবং দেশকে তুলে ধরেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তার ১৩১ বছর বাদে আর জি কর কাণ্ড যখন সাধারণের বিবেক দংশনে ক্ষতবিক্ষত, তখনই সিমলা স্ট্রিট থেকে বিবেক জাগরণ যাত্রায় শামিল হলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভাঙা হাতে প্লাস্টার, তবুও দমে যাননি। রাজপথে নেমেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, “বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারাচ্ছি।” কিন্তু গত একমাসে ন্যায়বিচারের দাবিতে বাংলার প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখে মিঠুনের স্বপ্নপূরণ ঘটে। তাই তো সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই শহরে পা দিয়েই মহাগুরু বলেন, “এই বাংলাই দেখতে চেয়েছিলাম।”
উল্লেখ্য, বুধবার রাজপথে নামলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন বিকাল ৪টে নাগাদ হেদুয়ায় স্বামীজির পৈতৃক বাসস্থান থেকে মিছিল শুরু হয়। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে শেষ হয় তাঁদের কর্মসূচি। মিছিলে মিঠুন চক্রবর্তীকে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার। তাঁর ডাকেই এদিন বিকেলে বিবেক জাগরণ যাত্রায় অভয়ার ন্যায়বিচার চেয়ে পা মেলালেন মহাগুরু।