প্রশাসনের যে মেল এসেছে তা অপমানজনক! আন্দোলনে অনড় জুনিয়ার চিকিৎসকরা

📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: রাজ্য প্রশাসনের বার্তাতেও সাড়া দিলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। একইসঙ্গে ইমেল অপমানজনক বলেই দাবি করলেন আন্দোলনকারীরা। চিকিৎসকদের সাফ কথা, ১০জনকে ডাকাটাও অসম্মানজনক। যেভাবে ডাকা হয়েছে, তাতে আন্দোলনকেই অসম্মান করা হয় বলেই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসচিব-অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফা সহ একাধিক দাবিতে এদিন স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন চিকিৎসকরা। এরপরই খবর মেলে, সন্ধ্যা নাগাদ জুনিয়ার  ডাক্তারদের নবান্ন থেকে ইমেল করা হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসচিবের ইস্তফা তাঁদের অন্যতম দাবি, তাঁর মেল আইডি থেকেই ইমেল এসেছে। এর পাশাপাশি ওই মেলে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ জন বা তার কম সংখ্যক চিকিৎসকের প্রতিনিধি দল নবান্নে যেতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে এক আন্দোলনকারী চিকিৎসক বলেন, "যদি আমরা চাই তাহলে নাকি ছোট প্রতিনিধি দল সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে নবান্নে যেতে পারি। তবে দশের বেশি নয়। আমরা কয়েকটা বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমরা গতকাল থেকে বলছি, রাজ্য সরকার আমাদের ৫ দফা দাবি নিয়ে সদর্থক বার্তা দিক। কিন্তু স্বাস্থ্য সচিবের থেকে যে মেল এল, সেটাকে কোনও সদর্থক বার্তা হিসেবে দেখছি না। এর আগে লালবাজারে যখন গিয়েছিলাম, পুলিস  কমিশনারকে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে ডেপুটেশন তাঁর হাতেই দিয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন আমার উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে তাহলেই পদত্যাগ করব। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বললেন উনি পদত্যাগ নিতে চাননি। কেন না ভিড় সামলাতে সমস্যা হবে। আমরা আলোচনার পথ সবসময় খোলা রাখতে চাই। কিন্তু যে ভাষায় মেল, এটা অত্যান্ত অপমানজক। ঠিক যেভাবে বলা ছোট প্রতিনিধি দল, সেটাও অত্যন্ত অসম্মানজনক। যেভাবে এই মেলটি এসেছে এরপর এই মেলে সাড়া দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। একথাও মনে করিয়ে দিতে চাই, এরপরও রাজ্য সরকার কোনও সদর্থক বার্তা জানান সেক্ষেত্রে কোথাও যাব কিনা ভেবে দেখতে পারি।''

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, '৬.১০ মি নাগাদ ১০জনকে আসার জন্য ইমেল করা হয়েছিল। এতক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কোনও বার্তা আসেনি। কোনও জবাব না আসায় সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলেন।' এর উত্তরে জুনিয়ার ডাক্তাররা বলেন, "এ প্রসঙ্গে বৈঠকের যে বার্তা পেয়েছি সেই মেল নবান্ন থেকে আসেনি। স্বাস্থ্য সচিবের থেকে মেল পেয়েছি। বৈঠকে বসার সদিচ্ছা থাকলে আরও নমনীয় হতে পারতেন,  আলোচনার পথ সবসময় খোলা। আন্দোলনের ৩২ দিন পর স্বাস্থ্যভবনের সামনে জড়ো হয়েছি। সেখানে এভাবে ডাকা আন্দোলনের স্পিরিটকে আঘাত করা হয়েছে।'' 
error: Content is protected !!