📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আরজি কর কাণ্ডের এক মাস অতিক্রান্ত। এই ঘটনার বিচার চেয়ে লাগাতার আন্দোলন চলছে। সুপ্রিম কোর্টে দুবার শুনানি হয়ে যাওয়ার পরও বিক্ষোভের আঁচ যে কমেছে তা একেবারেই বলা যাবে না। বরং উত্তরোত্তর তা বাড়ছে। সোমবার আন্দোলনে সামিল হল কলকাতা ঐতিহ্য কফি হাউজও। মোমবাতির আলো, স্লোগানের গর্জনে ভরে গেল গোটা বাড়ি।
‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা…’ আজ আছে। তবে তাতে সামিল হয়েছে প্রতিবাদও। আরজি করের ঘটনায় গর্জে উঠেছে সেই আড্ডাও। সোমবার ঠিক বিকেল ৬টায় কফি হাউজের সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। তারপর টেবিলে টেবিলে জ্বালানো হয় মোমবাতি। একই সঙ্গে স্লোগান ওঠে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’। স্লোগান শেষে সবাই একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এই কর্মসূচি শেষ করেন। কফি হাউজের দোতলার সিঁড়িতে ওঠার পর, গেটের ঠিক পাশে একটি টেবিলও রাখা ছিল। তাতে রাখা একটি কাপ ঘিরে কয়েকটি মোমবাতি দিয়ে সাজানো হয়। এছাড়া কফি হাউসের কাউন্টার, নিচের দোকানে এবং আরও বিভিন্ন জায়গাতেও মোমবাতি জ্বালানো হয়েছিল।
কোনও সংগঠনের তরফ থেকে আলাদাভাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ যারা কফি হাউজে এসেছিলেন সময় কাটাতে। নৃশংস ঘটনার এক মাস হয়ে গেলেও এখনও বিচার পাওয়া যায়নি আরজি কর কাণ্ডে। তবুও তাঁরা আদালতে ভরসা রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তাই সকলকে দিচ্ছেন। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে আমজনতা কেউই আন্দোলন থামিয়ে দেওয়ার মনোভাবই প্রকাশ করছেন না। বরং তাঁদের সাফ কথা, বিচার যত পিছবে, আন্দোলন তত এগোবে।
এদিকে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোরও তো হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন বাকি। এই অবস্থায় মানুষ কি পুজোতে মাতবেন না, এই প্রশ্ন উঠেছে। কেউ পুজো বয়কটের ডাক দিয়েছেন, আবার কারও কথায় পুজো পুজোর জায়গায়, তবে আন্দোলন চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সোমবার সকলকে আসন্ন উৎসবে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যে অবশ্য খুশি হননি অনেকে। আর দুঃখপ্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার মাও।
তিনি বলেছেন, ”কেউ যদি উৎসবে ফিরতে চান তাহলে ফিরতে পারেন। আমার কিছুই বলার নেই। কিন্তু আমার বাড়িতে আর কোনওদিন দুর্গাপুজো হবে না। আগে হত, মেয়ে পুজোয় থাকত। আর কখনও পুজোর আলো জ্বলবে না।” তাঁর স্পষ্ট কথা, যতদিন বিচার পাবেন না, ততদিন তিনি পথে থাকবেন।