অভিষেকের হুঁশিয়ারির পরই ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চাইলেন কাঞ্চন! কী বললেন বিধায়ক-অভিনেতা

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আরজি করের ঘটনায় কুকথা না বলার জন্য সোমবার রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেকের ওই পোস্টের কিছু পরেই সোমবার মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে এসে তৃণমূল বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “গতকাল একটি মন্তব্য করি, যার জন্য সমালোচিত হই। আমি যা বলেছি, তার জন্য লজ্জিত এবং দুঃখিত। আমি কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য বলছি না। মাথা পেতে ভুল স্বীকার করছি।”
কাঞ্চন এও বলেন, “ক্ষমার চেয়ে বড় কিছু হয় না। আমি সকলের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি।”

আরজি করের ঘটনায় আন্দোলিত সমাজ। ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষও। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে প্রতিবাদ। এহেন আবহে কর্মবিরতিতে যুক্ত হওয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশে কাঞ্চন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বেতন নেবেন তো?’ যে সরকারি কর্মচারীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশেও কাঞ্চন একই ধরনের প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার পর থেকে তাঁর টলিপাড়ার সতীর্থরাই ঘাঁটা মল্লিক, নাটা মল্লিক বলছেন।

এরপরই সোমবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে অভিষেক লিখেছেন, “দল নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিদের আরও নমনীয় ও সহানুভূতিশীল হওয়া দরকার। তৃণমূলের সকলকে বলছি, চিকিৎসক বা নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে কোনও কটূ কথা বলবেন না।”

এরপরই ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের ফেসবুক লাইভে এসে কাঞ্চন বলেন, “আমার বাড়িতেও বৃদ্ধ মা আছেন। বাড়িতে বাচ্চা আছে। আমি জানি চিকিৎসকের প্রয়োজন কতটা।”

জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে ‘সঙ্গত’ জানিয়ে কাঞ্চন বোঝানোর চেষ্টা করেন, কোন মানসিক পরিস্থিতিতে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন। অভিনেতা-বিধায়ক বলেন, “চিকিৎসকরা আমার কাছে ভগবান স্বরূপ। কিন্তু যেদিন আইএমএ-র স্ট্রাইক চলছিল, সেদিন আমার এক ভাতৃপ্রতিম বন্ধুর মায়ের ইন্টারন্যাল হেমারেজ হয়েছিল। সে আমার সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু কিছু করে উঠতে পারিনি। পরে ও ফোন করে বলে, ‘আর সাহায্য লাগবে না। মা আর নেই।’ ওই ঘটনায় আমি খুব শকড হয়েছিলাম।”

এরপরই নিজের পুরনো বক্তব্যের জন্য অন্তত ১০ বার ক্ষমা চাইতে শোনা যায় কাঞ্চনকে। এও বলেন, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস!” কাঞ্চনের এহেন ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে সোশ্যাল মাধ্যমে নতুন করে কটাক্ষের বন্যা বইতে শুরু করেছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। কেউ লিখেছেন, ‘ঠ্যালার নাম বাবাজি!’ কেউ বা লিখেছেন, “বেচারা অসময়ে দলের পাশে দাঁড়িয়ে হিরো হতে গিয়ে জিরো বনে গেল!”