📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ‘সেদিন রমিতার সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল?’, ‘চারজন পুরুষ মেট্রো স্টেশনের বাইরে কীভাবে ছুঁয়েছিল রমিতাকে?’ সালটা ১৯৯২ সাল। কলকাতার বুকে ঘটে গিয়েছিল এক ভয়ংকর ঘটনা। মেট্রো স্টেশনের বাইরে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। যাঁকে বাঁচিয়ে ছিলেন এক মহিলা সাংবাদিক। গর্জে উঠেছিলেন প্রতিবাদে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কলম ধরেছিলেন সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টচার্য। লেখা হয়েছিল উপন্যাস ‘দহন’। যা নিয়ে ১৯৯৭ সালে ছবি বানান পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। ছবির নামও রাখেন ‘দহন’ই। রমিতার চরিত্রে ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর প্রতিবাদী মহিলা সাংবাদিক শ্রবণার চরিত্রে ইন্দ্রাণী হালদার। ‘দহন’কে সঙ্গী করে বাংলা ছবির পর্দায় ঋতুপর্ণ যেন সাহসী ক্যামেরা ধরলেন। প্রশ্ন ছুড়লেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থানকে। প্রতিবাদী শ্রবণার মধ্যে দিয়েই যেন গর্জে উঠলেন তিনি।
এই ছবি মুক্তির ২৭ বছর পর, সেই কলকাতা শহরেই ফের দহন। আবার এক নারী নির্যাতনের ঘটনায় শিউরে উঠেছে মানুষ। আর জি কর কাণ্ডে জ্বলছে তিলোত্তমা। ‘৯৭ সাল থেকে আজ ২০২৪। গঙ্গাজলের স্রোতের সঙ্গেই সময়ও এগিয়েছে। শহর পরিধিতে আরও বেড়েছে। শপিংমলে মুখ ঢেকেছে কল্লোলিনীর। এমনকী, নতুন নতুন মেট্রোও পেয়েছে শহর। কিন্তু ঋতুপর্ণর সেই দহন আজ মেট্রোর স্টেশন থেকে বেরিয়ে আরজি করে। ৩১ আগস্ট, যখন ঋতুপর্ণর ভক্তরা তাঁর জন্মদিনে স্মৃতিচারণায় মত্ত, ঠিক তখনই মনে উঁকি দিচ্ছে সেই দহনের রাত। সেই চিত্রায়ন। শ্রবণার সেই প্রতিবাদই কি আজ গোটা শহরে?