স্মরণসভা জুড়েও স্লোগান যতটা বুদ্ধদেব, ততটাই আরজি কর

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারির গর্জনে বৃহস্পতিবার যতটা রইলেন প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ততটাই রইল আরজি কর হাসপাতাল। এক এক সময় ‘কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য লাল সেলাম’ গর্জনকে ছাপিয়ে গেল ‘জাস্টিস ফর আরজি কর স্লোগান’।

সতীর্থ সম্পর্কে বলতে উঠে বিমান বসু মূলত বুদ্ধদেবের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ এবং রাজনৈতিক রুচিশীলতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘যখন বুদ্ধদাকে প্রথম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, তখন আমি রাজ্য সম্পাদক। যে সময়ে খবর পাই, তখন আমি বাইরে। জ্ঞান ফেরার পর বুদ্ধদা কিছুতেই হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। শেষ পর্যন্ত আমাকে যেতে হয়। আমাকেও সটান বলে দেন, ‘মাই লাইফ ইজ় মাই লাইফ!’ আমি আরও দৃঢ় ভাবে বলি, ‘ইওর লাইফ ইজ় নট ইওর লাইফ। নট ইওর প্রপার্টি। ইট্‌স পার্টি প্রপার্টি। তার পরে ওঁকে ঠাণ্ডা করা গিয়েছিল।’’ মহম্মদ সেলিম বলেন ” দোষে-গুণেই মানুষ। কেউ কখনও ১০০ শতাংশ ঠিক হতে পারে না। তবে বুদ্ধদা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার মধ্যে কোনও অসততা ছিল না। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল নতুন বাংলা গড়ে তোলার। যে বাংলা পরবর্তী প্রজন্মকে নিজের পায়ে দাঁড় করাত।’’ বুদ্ধদেবের স্মরণসভায় সেলিমের শেষ উক্তি হয়ে রইল, ‘‘এ লড়াই লড়তে হবে, এ লড়াই জিততে হবে।’’ এখন ‘লড়াই’ মানে কী? নেতাজি ইন্ডোরের গ্যালারির গর্জন করে জানিয়ে দিল— ‘আরজি কর, আরজি কর’!

সভার শুরুতেই বুদ্ধদেবের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে একটি ভিডিয়ো দেখানো হয়। যেখানে স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য বলেছেন বুদ্ধদেবের সাহিত্যানুরাগের কথা।স্মরণসভায় ছিলেন বুদ্ধদেবের সন্তান সুচেতনও।

দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাই হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো বার্তা রেকর্ড করে পাঠান তিনি । এই স্মরণ সভায় বামফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সম মনোভাবাপন্ন অন্য দলের নেতা-নেত্রীরাও। উপস্থিত ছিলেন সৌরভ ও স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, সম্বরণ ব্যানার্জি সহ ক্রীড়া জগতের মানুষেরাও।

error: Content is protected !!