📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় টানা ৬দিন ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দীর্ঘ জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। ইতিমধ্যে সিট গঠন করেছে নবান্ন। পুলিশের তরফেও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এমন আবহে বুধবার কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর সন্দীপ ঘোষের জন্য! আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষর দাবি মেনে অবিলম্বে তাঁর ও পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
গত শুক্রবারই এ ব্যাপারে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপবাবুর আইনজীবী। সেদিন অবশ্য আদালত মামলাটি গ্রহণ করেনি। পুনরায় আবেদন জানানোর কথা বলা হয়েছিল। সোমবার ফের সন্দীপবাবুর আইনজীবী আদালতে আবেদন জানান।
এদিন মামলার শুনানিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী আদালতকে জানান, গত ১৪ অগস্ট প্রায় তিন হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষর বাড়ির সামনে। এর ফলে সন্দীপবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আদালতে আইনজীবী বলেন, “প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মা, বাবা ভাই ও তাঁর সন্তান প্রত্যেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যে জমায়েত হচ্ছে তাতে প্রত্যেকেই আতঙ্কিত।”
এসময় বিচারপতি জানতে চান, “আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষর বাড়ির সামনে কি পুলিশ পকেট রয়েছে?” সন্দীপবাবুর আইনজীবী জানান, ‘হ্যাঁ।’ তবে উচ্চ পদস্থ পুলিশ অধিকারিক মোতায়নের দাবি জানান তিনি। এও বলেন, সন্দীপবাবু সিবিআই তদন্তের সহযোগিতা করছেন।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রয়েছে। নিয়মিত বেলেঘাটা থানার পুলিশ টহল দিচ্ছে। এরপরই বিচারপতি রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী, সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।