ঝড়ের বেগে সিজিওতে ঢুকলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ! চোখে, মুখে কি চিন্তার ছাপ?

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: পরিস্থিতির নিরিখে একদিনে কত কী বদলে যায়! শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে সিবিআই অফিসে প্রবেশের সময় নিজে থেকেই মিডিয়ার কাছে এগিয়ে এসে বেশ জোর গলায় বলেছিলেন, “কারা রটিয়ে দিয়েছে, আমাকে নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে, এটা ঠিক নয়! আমাকে গ্রেফতার করা হয়নি।” এও জানান, তিনি সিবিআইকে তদন্তে সবদিক থেকে সহযোগিতা করছেন।

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সেই সন্দীপ ঘোষ রবিবার সিজিওতে প্রবেশ করলেন প্রায় ঝড়ের বেগে! বেলা ১১টায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। ঘড়ির কাঁটায় ১০ টা ৪০ মিনিট। সিজিওর সামনে গাড়ি থামতেই চোখের পলকে গাড়ি থেকে নেমেই এক ছুটে সিবিআই অফিসে ঢুকে পড়লেন সন্দীপবাবু। চোখে, মুখে কি চিন্তার ছাপ? মেলেনি সদুত্তর।

ঠিক যেমন, শনিবার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা জেরার পর গভীর রাতে সিজিও থেকে বেরনোর সময় মিডিয়াকে দেখে ‘রা’ও কাড়েননি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ!

এরই মাঝে শনিবার রাতে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে সন্দীপবাবু এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জেরার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এ ব্যাপারেও সন্দীপবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা আড়ালের অভিযোগ আগেই এনেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা এবং নির্যাতিতার পরিবার। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ঘটনা আড়াল করার অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকলে তাতে অধ্যক্ষর জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার হাজিরা দেননি অধ্যক্ষ। পরিবর্তে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে শুক্রবার তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরই রাস্তা থেকে অধ্যক্ষকে তুলে শুক্রবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। ছাত্রীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষ কেন বৃহস্পতিবার তদন্তকারীদের হাজিরা এড়িয়ে গেলেন তদন্তে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, সেদিন হাসপাতালের সহকারী সুপার টেলিফোন করে মেয়ে ‘সুইসাইড’ করেছে বলে জানিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই সহকারী সুপার জেরার মুখে জানিয়েছেন, অধ্যক্ষর নির্দেশেই তিনি একথা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন মেয়েটির পরিবারকে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ কী জবাব দিয়েছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, “অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে ঘটনাকে আড়াল করার একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। তাই বার বার ডেকে জেরা করা হচ্ছে।” গত ২ দিনে প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টা তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষকে।

error: Content is protected !!