📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আর জি কর কাণ্ডের পর ডার্বি বাতিল ঘিরে চাপানউতোর চলছে। প্রতিবাদ ঠেকাতেই ম্যাচ বাতিল বলে অভিযোগ উঠছিল। সেই আবহেই বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ডার্বি বাতিলের কারণ জানানো হল। একটি অডিও রেকর্ডিং শেয়ার করে পুলিশের দাবি, একাধিক অডিও ক্লিপ তাদের হাতে এসেছে, যেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমায়েত করে, হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করতে শোনা গিয়েছে। তাই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধে ৭টা থেকে ডার্বি শুরু হওয়ার কথা ছিল, তার আগে শনিবার ম্যাচ বাতিলের ঘোষণা করা হয়। সেই নিয়ে বিতর্ক বাধলে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিধানগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। সাংবাদিক বৈঠকে দু’টি অডিো রেকর্ডিং শোনান তাঁরা, যার সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদমাধ্যম। ওই অডিও রেকর্ডিংয়ের কথোপকথন খানিকটা এমন-
কণ্ঠ ১- যত ছেলে, যখন হাতে অস্ত্র নেবে না! হাতে অস্ত্র মানে বুঝে নাও। তখন দেখবে এই যে পুলিশ বাড়াবাড়ি করছে না! সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। ওরা লাঠি চালাবে, আমরা চালাব অস্ত্র। দেখি কার জয়…ঠিক আছে! অস্ত্র নিয়ে যেতে হবে। ভয় পেলে চলবে না।
বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, ডুরান্ড ডার্বিতে অশান্তির বাধানোর চক্রান্ত করা হচ্ছিল। দর্শকদের মধ্যে মিশে গিয়ে অশান্তির ছক করা হয়েছিল। এমন বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ তাদের হাতে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত সেই নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। কমিশনারেটের আধিকারিকরা বলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কোনও সমস্যা নেই আমাদের। কিন্তু আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে যে, অশান্তি তৈরির চেষ্টা হবে। সেই কারণে জমায়েত না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যুবভারতী চত্বরে জারি করা হয়েছে ন্যায় সংহিতার ১৬২ ধারা।”(RG Kar Protests)
আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই বাতিল করা হয় আজকের ডার্বি। গ্যালারিতে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় ম্যাচ বাতিল করা হয়।
পর্যাপ্ত পুলিশ পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানায় বিধাননগর কমিশনারেট, ডুরান্ড কমিটি। তবে ম্যাচ ভেস্তে গেলেও যুবভারতীর বাইরে প্রতিবাদে শামিল হবেন ইস্ট বেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকরা। সেই জমায়েত নিয়েও সতর্ক করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বিধাননগর কমিশনারেটের বাইরে প্রচুর পুলিশের ভ্যান রয়েছে, রয়েছে RAF, একাধিক প্রিজন ভ্যান। যুবভারতীর ৩ নং গেটের সামনেই কমিশনারেটের দফতর।

