📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রায় রোজই উত্তাল হচ্ছে তিলোত্তমা। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নানা প্রশ্নে কার্যত বিব্রত দেখিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। কখনও সেই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দর থেকে আবারও কখনও বাইরে থেকে।
তবে এবার এই ঘটনায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলে তৃণমূলের বিড়ম্বণা আরও বাড়ালেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এই ব্যাপারে তিনি একটি চিঠিও লিখেছেন সিবিআইকে। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, কারা আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিলেন, কেন তিন দিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ ? কেন সেমিনার হলের দেওয়াল ভাঙা হল ? তাঁর মতে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই যদি জেরা করে, তাহলেই সব ঘটনা সামনে চলে আসবে। উল্লেখ্য এই ব্যাপারে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দু দফায় জেরা করেছে সিবিআই। শনিবারও প্রায় মধ্যরাতে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।
আরজি করের প্রতিবাদে সম্প্রতি কলকাতায় রাতদখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। অরাজনৈতিক সেই কর্মসূচিকে গোড়া থেকে সমর্থন করেছিলেন সুখেন্দুশেখর। তিনি জানিয়েছিলেন, মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু হিসেবে এই প্রতিবাদে সামিল হবেন। এবং হয়েও ছিলেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জানিয়েছেন, সময় এসেছে এবার কঠিন আইন বলবৎ করার। সেই দাবি তুলেই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিতেও লিখেছিলেন তিনি। তবে, বিনীত গোয়েল নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক দাবিতে তৃণমূলের চাপ বাড়ল বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।