📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কারামন্ত্রী অখিল গিরির কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বললেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা! কর্মরত অফিসারকে এভাবে বলে ঠিক করেননি। মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।” অখিল গিরির ঘটনা নিয়ে দ্য ওয়ালের কাছেই প্রথম মুখ খুললেন বনমন্ত্রী।
এদিন দ্য ওয়ালের তরফে বনমন্ত্রীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “কর্মরত অফিসারকে এভাবে কেউ বলতে পারেন না। তিনি যে পদেই থাকুন। যদি কিছু বলার থাকত আমি দফতরের মন্ত্রী, আমাকে উনি বলতে পারতেন। তিনি তা না করে যেটা করলেন সেটা অনভিপ্রেত।”
তিনি জানান, সেখানকার ডিএফও ও সিসিএফের থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি। রিপোর্ট পেলেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন। তাঁর কথায়, “যে ঘটনা ঘটেছে, তা আমি কোনওভাবেই সমর্থন করি না। আমি এর কড়া নিন্দা করছি।”
শুক্রবার রাতে তাজপুরের সমুদ্রসৈকতে বন দফতরের জায়গা থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা হয়। শনিবার দুপুরে হকারদের সমর্থনে ওই এলাকায় যান অখিল গিরি। ঘটনাস্থলে তখন উপস্থিত ছিলেন কাঁথি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ-সহ বন দফতরের অন্য কর্মীরা। বন দফতরের মহিলা আধিকারিককে উদ্দেশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আপনি কত বড় অফিসার, আমি দেখে নেব।” জবাবে মহিলা অফিসার তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তখন অখিলকে বলতে শোনা যায়, “আপনাকে কে নাইট ডিউটি করতে বলেছে? আপনি রাত্রিবেলা কেন দোকানগুলো কাটলেন, আমি জানতে চাই।”
বিতণ্ডার মাঝেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘২৫ ফুট আমরা নিলাম। এর ভিতরে যদি আপনি আসেন আপনি ফিরে যেতে পারবেন না। বেশি কথা বলবেন না আপনি একদম।” শালীনতার সীমা অতিক্রম করে এও বলেন, “আপনি সরকারের চাকর। মাথা নিচু করে কথা বলবেন। আপনি একদম বেয়াদবি করবেন না। আপনাকে যখন সবাই ডাঙ দিয়ে পেটাবে, তখন দেখবেন!”
একজন মন্ত্রীর মুখে এমন ভাষা শুনে স্তব্ধ বন দফতরের মন্ত্রী বীরবাহা। ঘটনাকে তিনি যে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না তা স্পষ্ট করে দেন।