📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগের কোনও শেষ নেই। আর এই কেলেঙ্কারির কোপ থেকে বাদ যায়নি পাহাড়ও। দার্জিলিং জেলাতেও একাধিক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার সেই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই শুনানিতেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।
দার্জিলিং-এ প্রাইমারি থেকে সেকেন্ডারি পর্যন্ত কয়েক হাজার নিয়োগ হয়েছে কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই! এমনই অভিযোগ উঠেছে। মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সরকারের তরফেও হলফনামায় কার্যত মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিলে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেছে রাজ্য। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে। কিন্তু বিষয় হল, এই ঘটনায় রাজ্যের তরফেই একটি এফআইআর করা হয়েছিল। সেই নিয়েই আদালত সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
রাজ্য সরকারের তরফে যে এফআইআর করা হয়েছিল তার তদন্ত বর্তমানে বন্ধ। কেন তদন্ত হচ্ছে না, সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে ঠিকই, তবে যে মামলা রাজ্য নিজে করেছে এবং যার তদন্ত সিআইডি করছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করে রাখার কারণ জানাতে হবে।
মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে মামলা গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। সেই সূত্রেই আদালতের কাছে এসে পৌঁছয় কিছু বেনামী চিঠি। চিঠির সূত্র ধরে সামনে আসে জিটিএর অন্তর্গত স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। চিঠিতে দাবি করা হয়, ওই নিয়োগ দুর্নীতি আদতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিনয় তামাং-এর মস্তিষ্ক প্রসূত। এমনকী এই দুর্নীতি সংগঠিত করার পিছনে একজন ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর বা ডিআই এবং তৃণমূল ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য আছেন বলেও দাবি করা হয়েছিল।
বুধবার মামলাকারীর আইনজীবী স্পষ্ট বলেন, তদন্ত বন্ধ করে রাখা এবং যে পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত বন্ধ করে রেখেছে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত না করা প্রমাণ করে দেয় যে, সরকার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত তো চায় না, বরং এই অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে চায়।