📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ২০১১ সালে রাজ্যের তখতে বসার পর থেকেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় অনুদান ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ২৫ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করে সরকার। বাড়তে বাড়তে এবারে তা ৮৫ হাজারে পৌঁছেছে। গতবারে অনুদান ছিল ৭০ হাজার টাকা। একই সঙ্গে আগামী বছর থেকে অনুদানের অঙ্ক ১ লাখ টাকা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের ঘোষণা করা ওই অনুদান নিয়ে আগেই কোলকাতাহাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি। আদালত সূত্রের খবর, ওই মামলায় এবার নতুন করে আবেদন করা হল। পুজোয় রাজ্যের তরফে অনুদানের যে টাকা দেওয়া হয়, তার উৎস জানতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর আর্জি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার অনুদান ঘোষণার পর থেকে পুজো ঘিরে অতীতে যে চাঁদার জুলুম দেখা যেত তা বন্ধ হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের অনুদানের টাকায় বিভিন্ন ক্লাব থিমের প্রতিমা, মণ্ডপ গড়েন। সেই সূত্রে দুর্গা পুজোকে ঘিরে ইউনেস্কো থেকে সেরার শিরোপাও পেয়েছে বাংলা।
অতীতে এ ব্যাপারে মামলাও গড়িয়েছিল আদালতে। যদিও আদালতে সেই মামলা টেকেনি। কারণ, আদালতে রাজ্য জানিয়েছিল, দুর্গাপুজোর সঙ্গে বাংলার মানুষের আবেগ, সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে। অনুদান বন্ধ করে দিলে অনেক পুজো কমিটির পক্ষেই বাংলার এই সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।
এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রয়েছে। তাঁর মতে, বাংলার দুর্গাৎসব কেবল একটা পুজো নয়। ইউনেসকো একে দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা দিয়েছে। পুজোর সময়ে বাংলায় ছোট, বড়, মাঝারি শিল্প অন্তত চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করে। তাতে সাড়া বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সংসার চলে। সুতরাং এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার দায় সরকারেরও রয়েছে। তা ছা়ড়া পুজো কমিটিগুলো সারা বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক করে। তাদেরও উৎসাহ দেওয়া দরকার।
আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি গত বছর পুজো কমিটিগুলোকে ফায়ার লাইসেন্স মকুব করা হয়েছিল, বিদ্যুৎ মাশুলে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এবারও সেগুলি বজায় রয়েছে। তার উপরে বিদ্যুতে ছাড় বাড়ানো হয়েছে খানিকটা, ৬৬ থেকে ৭৫ শতাংশ।