পরীক্ষায় বসতে না পারা বিএড পরীক্ষার্থীদের জন্য কী ব্যবস্থা? রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাংশ বিএড পরীক্ষার্থী। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত কলেজগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে যে সব পরীক্ষার্থী চলতি শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষা দিতে পারলেন না, তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাও জানাতে বলেছে আদালত। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষের বিএড পরীক্ষা। কিন্তু একাধিক ক্ষেত্রে কলেজগুলির গাফিলতিতে চলতি শিক্ষাবর্ষের বিএড পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি বহু প্রার্থী, এই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

আদালত সূত্রের খবর, চলতি শিক্ষা বর্ষে একাধিক প্রার্থী প্রয়োজনীয় ক্লাস করেননি, এমন অভিযোগে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পরীক্ষার্থীদের দাবি এক্ষেত্রে তাদের কোনও গাফিলতি ছিল না। কলেজগুলির গড়িমসির জন্যই এমনটা হয়েছে।

মঙ্গলবার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবীর কাছে এই বক্তব্য শোনার পরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন তোলেন, ‘সব জানা সত্ত্বেও আপনারা কেন কলেজগুলির ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? কেন কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করছেন না?’ এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, আদালত নির্দেশ দিলে তেমনটা করা যেতে পারে।

বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘কেন আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন? আপানারা নিজে থেকে কেন কলেজগুলির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবেন না?’ এরপরই নির্দেশে বিচারপতি জানিয়ে দেন, এবছর পরীক্ষা না দিতে পারা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির ক্ষেত্রে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলেছেন বিচারপতি। ১৩ Dimd’ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *