📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে শেষ ষোলোয় পৌঁছন মিশরের নাদা হাফেজ। তার পরে আর জিততে পারেননি ঠিকই। তবে তাতে কম পড়েনি অভিনন্দন ও প্রশংসা। ‘পরাজিত’ নাদা যখন পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে, গ্যালারি ভেসে যাচ্ছে হাততালিতে। কারণ এই অলিম্পিক্স নাদা একে খেলেননি। খেলেছে তাঁর ছোট্ট সন্তান, যে এখনও অনাগত। মা নাদার পেটের ভিতরে সাত মাস কাটিয়েছে সে।
২৬ বছরের নাদা পেশায় একজন প্যাথোলজিস্ট। এই নিয়ে টানা তিনবার অলিম্পিক্সে অংশ নিলেন তিনি। এই বার প্রস্তুতি পর্ব চলার সময়েই জানতে পেরেছিলেন সুখবর। সকলে ভেবেছিল, এবার হয়তো অলিম্পিক্সে আর যাওয়া হবে না নাদার। তিনি বাতিল করবেন প্রতিযোগিতা। সেটাই যে ‘স্বাভাবিক’। কিন্তু নাদা প্রমাণ করে দিলেন মাতৃত্ব আসলে এতই ‘স্বাভাবিক’, যে তার জন্য কিছু বন্ধ রাখার দরকার নেই। এমনকি অলিম্পিক্সও। তাই মিশর থেকে প্যারিসের মঞ্চে হাজির হন তিনি। সোমবার নিজের প্রথম ম্যাচে আমেরিকার এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫–১৩ পয়েন্টে হারিয়ে ওঠেন শেষ ষোলোয়।
তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা ইয়াং জিওনের সঙ্গে হেরে যান ১৫–৭ পয়েন্টে। বিদায় নেন অলিম্পিক্স থেকে। কিন্তু সেই বিদায়কে হাততালি আর প্রশংসায় ভরিয়ে দেন দর্শকরা। দর্শকদের অভিবাদনে আপ্লুত হয়ে হাত নাড়ার সময়ে কেঁদেও ফেলেন তিনি।
পরে ইনস্টাগ্রামে জানান, পোডিয়ামে তখন সকলে তাঁকে দেখলেও, আসলে তিনি একা ছিলেন না। সঙ্গে ছিল অনাগত সন্তানও। এ আবেগ ব্যাখ্যার অতীত। তিনি লেখেন, ‘আমি ও আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে দারুণ খেলেছি, এটাই গর্বের। এটা আমার সত্তাকে পূর্ণ করেছে।’