📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কাঁওয়ার যাত্রা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে মরিয়া যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শীর্ষ আদালতে তাঁরা দাবি করেছে, শান্তিরক্ষার জন্যই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যে পথ ধরে তীর্থযাত্রীরা যাবেন তার দু’পাশের রাস্তায় সমস্ত খাবার দোকানের সামনে মালিক ও কর্মচারীদের নাম বড় হরফে লিখে টাঙিয়ে রাখতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু যোগী সরকারের পাল্টা আদালতে জানিয়েছে, পুরোপুরি শান্তি বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেছে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পিছনে কী যুক্তি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার? দেশের শীর্ষ আদালতে তারা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, তীর্থযাত্রীদের একটা বড় অংশ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে তারা রাস্তায় বেরিয়ে খাবার খেতে সমস্যায় পড়ছেন। দোকান দেখে বুঝতেই পারছেন না কোন দোকানে গেলে নিরামিষ বা নিজেদের পছন্দের খাবার পাবেন। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের স্পষ্ট কথা, হিন্দু তীর্থযাত্রীরা যাতে অহিন্দুদের খাবারের দোকানে ঢুকে না পড়েন, নিরামিষভোজীরা যাতে আমিষ খাবারের দোকান এড়িয়ে চলতে পারেন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
গোটা বিষয় নিয়ে বিরোধী দলগুলি তো বটেই, এনডিএ-র একাধিক শরিক এবং বিজেপির বেশ কিছু নেতাও আপত্তি তুলেছিলেন। বিরোধীদের দাবি ছিল, ধর্মীয় প্রবিত্রতা রক্ষার নামে আসলে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত দুই সরকারই শীর্ষ কোর্টে ধাক্কা খায়।
প্রসঙ্গত, কাঁওয়ার যাত্রা হল শিবের মাথায় জল ঢালার তীর্থযাত্রা। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার, গঙ্গোত্রী, গোমুখ এবং বিহারের সুরতানগঞ্জ এলাকা থেকে গঙ্গার জল নিয়ে তীর্থযাত্রীরা নিজেদের এলাকায় ফিরে গিয়ে স্থানীয় শিব মন্দিরে মহাদেবের মূর্তির মাথায় ঢালেন। গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই তীর্থযাত্রা।