জনগণ বিরোধী বাজেট, উপেক্ষিত গরীব এবং বাংলা, কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে তোপ মমতার

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: চ্যালেঞ্জ ছিল রাজনীতির সঙ্গে অর্থনীতির ভারসাম্যকে বজায় রাখার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে রেকর্ড সপ্তমবার বাজেট পেশ করতে গিয়ে কী সেই চ্যালেঞ্জ রাখতে পারলেন নির্মলা সীতারামন ? দেড় ঘণ্টার বাজেট বক্তৃতার পর এই বাজেট থেকে ভারতের প্রাপ্তি শূন্য বলেই দাবি করল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই বাজেট অন্তসার শূন্য। এই বাজেট কোনও ভাবেই ভারতের নয়। এই বাজেট শুধু মাত্র শরিকদের তুষ্ঠ করে নিজেদের গদি বাঁচানোর জন্য।

কী পাবে বাংলা ? কার্যত এই জল্পনার মধ্যেই লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিল বঙ্গবাসী। কিন্তু নির্মলার বাজেট শেষের পর লোকসভায় তৃণমূলের ডেপুটি নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রত্যাশিত ভাবেই শরিকদের সন্তুষ্ট করতে এই বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কল্যাণের অভিযোগ, টিডিপি ও সংযুক্ত জনতা দলকে খুশি না করলে নরেন্দ্র মোদীও জানেন, তাঁর সরকার কার্যত অস্থায়ী।

তবে, কেন্দ্রীয় বাজেটের বেশ কিছু সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শক্রঘ্ন সিনহা। কিন্তু বিহারের ক্ষেত্রে যে ঘুরিয়ে নাক দেখানো হল, তাও দাবি করেছেন। উল্লেখ বাজেটের আগেই বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি খারিজ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু এদিন বাজেটে পর্যটন থেকে উন্নয়ন সব খাতেই নীতীশের রাজ্যের উপর ঝাঁপি কার্যত উল্টে দিলেন সীতারামন।

নির্মলার বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের মধ্যবিত্ত মজবুত হবেন বলেও দাবি করেছেন। কিন্তু বাজেটের পর বিরোধীদের ইঙ্গিত, কেন বাকি রাজ্য ব্রাত্য রইল সেই জবাব এবার দিতে হবে কেন্দ্রকে। তাই বুধবার থেকে ফের সরগরমের ইঙ্গিত রয়ে গেল।