📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: রবিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে আগের কোটা বাতিল করার পর সেমবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি মোটের উপর শান্ত ছিল। ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ এবং মোবাইল পরিষেবা অনিয়মিত থাকায় আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি স্যাটেলাইট ফোন মারফত যে তথ্য পেয়েছে তাতে সোমবার বড় ধরনের গোলমালের খবর নেই। রবিবারও মোটের উপর শান্ত ছিল পড়শি দেশ। এদিকে, আন্দোলন চলাকালে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা, আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, পুলিশকে আক্রমণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে বিবিসি’কে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ। বাংলাদেশের চলতি আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতির আংশিক তালিকা সরকার ঘোষণা করেছে। সবচেয়ে আক্রান্ত ভবনগুলির মধ্যে আছে বাংলাদেশ টেলিভিশন, দুর্যোগ মোকাবিলা ভবন, পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গাড়ি, আউটপোস্ট ইত্যাদি। বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেওয়া হবে। এদিকে, চলতি ঘটনাবলী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ফের মুখ খুলেছেন। তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কাউকে ছাড়া হবে না। তাঁর অভিযোগ বিরোধী দল বিএনপি এবং জামাত- ই-ইসলাম ছাত্রদের ঢাল করে চলতি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর কথায়, কার্ফু জারি, সেনা মোতায়েন ছাত্র আন্দোলন দমনে করা হয়নি। দেশবাসীর নিরাপত্তা ও দেশের সম্পদ রক্ষায় ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে সরকার পতনের ডাক দিয়েছেন। সোমবার ঢাকায় তাঁর সরকারি আবাসে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসিনা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শিল্প ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে মেনে নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা হচ্ছে। রবিবার কয়েকটি মহল থেকে প্রচার করা হয়, আন্দোলনের চাপে ভয়ে হাসিনা তাঁর সরকারি অফিস তথা বাড়ি গণ ভবন থেকে পালিয়েছেন। হেলিকপ্টারে চেপে অজ্ঞাত স্থানে চলে গিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে সোমবারের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসিনা বলেন, আমি কোথাও যাব না। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছয় বছর দেশে ফিরতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত আমি দেশে ফিরে আসি। পরবর্তীকালেও আমাকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু আমি দেশে ফিরে আসি।