📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কার্যত উত্তাল বাংলাদেশ। সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এর মধ্যেই রাজধানী ঢাকার উত্তরায় পুলিশের গুলিতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ পড়ুয়া নিহত হয়েছেন। এছাড়া যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারে বুধবার মধ্যরাতে গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আরও ১ পড়ুয়ার। আহতের সংখ্যা শতাধিক। এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছেন আন্দেলনকারীরা৷
অন্যদিকে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানান। আনিসুলের দাবি, নীতিগত বিষয়ে হাসিনা সরকারের আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দেলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং শাসকদল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লীগের সংঘর্ষে মঙ্গলবার অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়৷ বুধবার দেশের সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ’ ঘোষণা করে পুড়য়াদের ক্যাম্পাস এবং হস্টেলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু হস্টেল খালি করতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবল সংঘর্ষ হয় পুলিশ, ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসের বাইরে৷ পুলিশ এবং শাসকদল আওয়ামী লীগের অভিযোগ, এই আন্দোলনে বিরোধী বিএনপি এবং জামাতে ইসলামির মদত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সন্ধ্যায় আন্দোলন প্রশমনের উদ্দেশে বার্তা দেন৷ কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷