📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর আদৌ কি চাকরি থাকবে? মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি নিয়োগ মামলার শুনানিতে জানা যাবে সেই উত্তর। মামলাটিতে যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিমধ্যে এই নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে। আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই সিবিআই চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইয়ের কাজ শুরু করে। সিবিআই সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইপর্ব গুটিয়ে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের সাক্ষাৎপর্ব ও তথ্য সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। আর এই সমস্ত তথ্যই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের পেশ করার কথা রয়েছে।
২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। গত এপ্রিল মাসে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ও এসএসসি। কয়েকজনের অবৈধ নিয়োগের জন্য গোটা প্যানেল কেন বাতিল করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সেই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
বহু প্রতীক্ষিত চাকরি বাতিল মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকার, শাসক ও বিরোধী দল থেকে শুরু করে গোটা শিক্ষামহল। যদিও মঙ্গলবার ওই মামলার চূড়ান্ত রায় না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। কারণ বিগত দিনে সংশ্লিষ্ট মামলার ব্যাপ্তি বেশ অনেকটা বড় আকার নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় যুক্ত হয়েছে আরও অনেকপক্ষ। সর্বোচ্চ আদালত আগেই জানিয়েছে, শুনানিতে সব পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। ।সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া চাকরিহারাদের সবার কথা শোনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ফলে মামলার রায় হতে সময় লাগবে বলেই মত আইনজীবী মহলের একাংশের।