মানিকতলা বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা! চলে গেলেই নাকি দাম যে কে সেই, অভিযোগ ক্রেতাদের

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: অগ্নিমূল্য বাজারে আনাজপত্রের দাম কমাতে বাজারে বাজারে ঘুরে দেখছেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এবং রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা। এদিন সাতসকালে মানিকতলা বাজার ঘুরে দেখেন তাঁরা।

টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে, কমল কুমার দে ছিলেন এদিনের অভিযানে। ছিলেন বটতলা থানার অফিসাররা। মানিকতলার পরে কলেজস্ট্রিট মার্কেটে গেছেন তাঁরা।

মঙ্গলবারই আকাশছোঁয়া সবজির দাম নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কালোবাজারি নিয়ে সতর্ক করেন মুনাফাখোরেদেরও। ১০ দিনের মধ্যে সবজির দাম কমানোর নির্দেশ দেন। টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায, “টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলাম, তারা শেষ কবে বৈঠকে বসেছে জানি না। যত দিন দাম না কমে, তত দিন বৈঠকে বসতে হবে। আমি মুখ্যসচিব, ডিজিকে নির্দেশ দিচ্ছি। কতটা দাম কমল, তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে আমি রিপোর্ট চাই। ১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতেই হবে।”

আজ, বৃহস্পতিবারও এমনই অভিযান জারি ছিল। এদিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রীতিমতো চড়া গলায় কথা বলতে শোনা যায় টাস্ক ফোর্স কর্তাদের। প্রতিটি আনাজের দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা, জানতে চান এত দাম কেন।

তবে এই অভিযানের পরে যে চড়া দামের ছবি খুব একটা বদলাচ্ছে, তা বলা যায় না। মানিকতলা বাজারে অসীম চক্রবর্তী নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘টাস্ক ফোর্স অভিযানে নামলেও দাম বিশেষ কমেনি। যেটুকু কমছে, সেটাও ওই আধিকারিকরা যতক্ষণ বাজারে থাকছেন। চলে গেলেই আবার যে কে সেই।’

একদিকে উত্তরবঙ্গ ভাসছে অন্যদিকে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে সেই অর্থে বর্ষার এখনও দেখা মেলেনি। অনাবৃষ্টির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোল্ড স্টোরে সবজি রেখে কৃত্রিম চাহিদা তৈরির অভিযোগ উঠেছে একাংশ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। যার ফলে বাজারে যেন আগুনের গোলা ছুটছে। লঙ্কা, বেগুন সবই ডবল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। ঢ্যারশ, উচ্ছের মতো সবজিও বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১১০।

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি তথা টাস্ক ফোর্সের অভিযান দাম কমাতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *