📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: লোকসভা ভোটের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাবার্তায় একটা উদ্বেগের বিষয় বারবার ধরা পড়ছে। তা হল, পশ্চিমবঙ্গে বাইরের রাজ্যের মানুষের ভিড় এত বাড়ছে যে বাংলার আইডেনটিটিই সংকটের মুখে পড়ে যাচ্ছে। কারণ, যাঁরা বাইরে থেকে আসছে, তাঁরা টাকা দিয়ে জবরদখল করে বসে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এর ফলে বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা, পরিবেশ এবং সরকারও তাতে বিপন্ন হচ্ছে।
তাঁর এহেন উদ্বেগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার বাঙালি বুদ্ধিজীবী তথা বিদ্বজ্জনদের আলোচনাচক্রে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আলোচনা চক্রের অ্যাজেন্ডা বা উদ্দেশ্য-বিধেয় স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে অনেকে মনে করছেন, বৃহৎত্তর প্রেক্ষাপটে রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল, ভূমিপুত্রদের অধিকার, ভাষার বিকাশ, উৎসবের উদযাপন ইত্যাদি বিষয় নিয়েই কথা হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে দেখা করেন। কারও কারও সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। কারও কারও শরীর, স্বাস্থ্য ও সঙ্গতির নিয়মিত খেয়াল রাখেন তিনি। কিন্তু পৃথকভাবে বৃহস্পতিবার যে আলোচনাচক্রের আয়োজন হয়েছে, তা কৌতূহল তৈরি করেছে নানা মহলে।
সম্প্রতি হকার উচ্ছেদ নিয়ে নবান্নে তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, আমি কোনও ভাষার বিরুদ্ধে নয়। ইংরেজি, হিন্দি ভাষারও ঐতিহ্য রয়েছে। তবে কি বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তা যাতে বিপন্ন না হয়। বাংলার আইডেনটিটি যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
তৃণমূলের কালীঘাট-ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, একদা মহারাষ্ট্রে শিবসেনা যেভাবে মারাঠি মানুষদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল, বা উত্তর ভারতের লোকজনকে খেদানোর কথা বলেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোটেই সে ধরনের কথা বলছেন না।