📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আর পাঁচটা কাজের দিনের মতোই দফতরে ঢোকার তাড়া ছিল আজ। বাস থেকে নামার সময় কানে এল, কন্ডাক্টর বলছেন, ‘এখানে এত লোক কেন, কেউ এসেছে নাকি? দাঁড়ান দাদা একটু এগিয়ে সাইড করাচ্ছি…’।
কসবায় রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ওপরে আকাশ ছোঁয়া শপিংমল অ্যাক্রোপলিস। লাগোয়া বহুতলে রয়েছে একাধিক নামী সংস্থার দফতর। নিত্যদিন ভিড় লেগে থাকে। শপিং মলের ক্রেতাদের সঙ্গে যাতায়াত করেন বহু অফিসকর্মী। ঠিক গায়েই রয়েছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম। বড়মাপের খেলাধুলোর আসর কম হলেও বহু স্কুল-কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ভোটের ডিসিআরসি, বছরভর নানা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি চলে সেখানে। পাশেই রয়েছে একটি নামী স্কুল। ছুটির সময়ে একের পর এক স্কুলবাসের লাইন লেগে যায় এখানে। স্বাভাবিকভাবেই বাসের কন্ডাক্টর ভেবেছেন, হয়ত সেলেব্রিটি কেউ এসেছে, বড় কোনও ‘ইভেন্ট’ আছে, ভিড় জমেছে লোকের…।
কিন্তু বাস থেকে নামতেই কটু গন্ধটা নাকে এল। চারপাশ একটু ঠাহর করে ওপরে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ! অ্যাক্রোপলিসের কাঁচে ঢাকা বহিরাবরণের পাশে ভেন্টিলেটর দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া!
মলের ভেতর থেকে হুড়মুড়িয়ে বের করে আনা হচ্ছে ক্রেতাদের। বেরিয়ে আসছেন লাগোয়া বহুতলের অফিস-কর্মীরাও। ততক্ষণে মাথার ওপরে গনগনে আগুন ছড়াচ্ছেন রবিদেব। একে প্রখর রোদ, তায় ঘেমে নেয়ে একসা করা আর্দ্রতা, নাজেহাল অবস্থা পথচারীদের। সৌভাগ্যক্রমে, অ্যাক্রোপলিসের আকাশছোঁয়া অট্টালিকার ছায়ায় অনেকটা ঢাকা পড়েছে পাশের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের মাঠ। সেখানেই জড়ো হয়েছেন সকলে। চোখে-মুখে আতঙ্ক। তখনও ধাতস্থ হতে পারেননি অনেকে। এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোক কোনওমতে বললেন, ‘সবাইকে ফায়ার এগজিটের সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। মলের কর্মীরা খুব সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু সিঁড়িগুলো এতটাই সরু, অপরিচ্ছন্ন, জিনিসপত্র জমে রয়েছে এদিকে-সেদিকে যে, ওই সিঁড়ি দিয়ে অত লোককে বের করতে গিয়েই দমবন্ধ করা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল…।’