📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করে প্রায় এক নিঃশ্বাসেই নিজের বাংলা উচ্চারণের জন্য বাঙালি দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।মঙ্গলবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলার রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ আবৃত্তি করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম ছত্র শেষ হওয়ার পরে প্রায় না থেমেই মোদী বলেন, ‘‘আমার উচ্চারণ দোষ আপনারা ক্ষমা করবেন।’’
মঙ্গলবার মোদী ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ কবিতার প্রথম কয়েকটি পংক্তি নিখুঁত উচ্চারণ করেছিলেন। কিন্তু শেষ ভাগে এসে গোল বাধে। ‘পুণ্য হউক পুণ্য হউক পুণ্য হউক হে ভগবান’ না বলে তিনি বলেন, ‘‘পুণ্য হউক পুণ্য হউক পুণ্য হউক কে…’’। তার পরে অবশ্য থমকে যান। শুধরে নিয়ে বলেন, পুণ্য হউক হে ভগওওবান। এর পরেই মোদীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ম্যায় মেরি উচ্চারণ দোষকে লিয়ে আপ সে ক্ষমাপ্রার্থী রহুঙ্গা।’’
কিন্তু হঠাৎ এই উচ্চারণ বোধ জাগ্রত হল কেন? দেশের লোকসভা ভোট প্রায় দেড়মাস ধরে চলার পরে এখন শেষ পর্যায়ে। আর বাকি শুধু সপ্তম দফার ভোট। এর আগে বাকি ছ’দফা ভোটে রাজ্যে অন্তত ছ’বার প্রচারে এসেছেন মোদী। কিন্তু উচ্চারণের জন্য ক্ষমা চাইলেন শেষ দফায়। রাজনীতির কারবারিদের একাংশ এর ব্যাখ্যা করে বলছেন, বাংলায় আগামী ১ জুন এই সপ্তম দফায় ভোট হবে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, দমদম, বসিরহাট, বারাসত, জয়নগর, মথুরাপুর এবং ডায়মন্ড হারবারে। এর মধ্যে পাঁচটি আসন শহর কলকাতা অথবা তার লাগোয়া। যেখানে শিক্ষিত বাঙালি ভোটারদের আধিক্য বেশি। মোদী সম্ভবত এই ভোটারদের কথা ভেবেই নিজের উচ্চারণ শুধরে নিতে চেয়েছেন।
যদিও রাজনীতিবিদদের অন্য একটি অংশ মনে করছে, এ বারের ভোটে বাংলায় আরও বেশি আসন আশা করছে বিজেপি। আর তাই বাংলায় তাদের সবচেয়ে বড় নেতিবাচক যে বিষয়টি সেই অবাঙালিত্ব ঘোচানোর প্রয়াস শুরু করেছে তারা। নিজেদের উপর থেকে ‘বহিরাগত’ ট্যাগলাইন মুছে ফেলতেই প্রয়াসী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে তাঁর বক্তৃতায়।

