📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ১ জুন দক্ষিণ কলকাতায় লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। প্রস্তুতিস্বরূপ দক্ষিণ কলকাতার সাতটি পৃথক জায়গায় কমিশনিং এবং মকপোলের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে, দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখা যাচ্ছে। মূলত ইভিএম সঠিক রয়েছে কি না, তা দেখতেই এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হয় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের। শুক্র, শনি এবং রবিবার — এই তিন দিন ধরে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই কাজ শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির থেকে দক্ষিন কলকাতায় বেশ পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, গোটা প্রক্রিয়ায় তৃণমূল এবং সিপিএম প্রার্থীর হয়ে অংশ নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী ছিলেন, তবে বিজেপি -র তরফে নামমাত্র প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল। সাংগঠনিক দূর্বলতা জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের সঙ্গে শাসকদলের আরও এক জন ডামি প্রার্থী রয়েছেন। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের জোট প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম ছাড়াও তাদের আরও এক জন ডামি প্রার্থী রয়েছে। বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গেও আছেন এক জন ডামি প্রার্থী। মক পোলে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাকি দুই প্রার্থী থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন দেবশ্রী। সব মিলিয়ে টেবিলের সংখ্যা ২০০-র বেশি। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে প্রার্থী মালা এবং ডামি প্রার্থীর জন্য প্রায় ৪০০ জন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ও ডামি প্রার্থীর ক্ষেত্রে ২০০-র বেশি প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিজেপির ক্ষেত্রে এজেন্টের সংখ্যা মাত্র ৭০-৭৫ জন। এই কাজে সব টেবিলে এজেন্ট দিতে পারেনি জেলা বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন , এমন সাংগঠনিক ব্যর্থতার পর ভোটের দিন সব বুথে আদৌ এজেন্ট দিতে পারবে দেশের শাসক দল ?
সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির প্রচারে সে ভাবে লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই সকল প্রশ্নের মুখে নিরুত্তর দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গেরুয়া শিবিরের এক রাজ্য নেতার বক্ত্যব্য – গোষ্ঠী কোন্দলে বিদীর্ণ দক্ষিন কলকাতা জেলা বিজেপি। প্রায় ৭০% কর্মী কাজ করছে না, তাঁদের কোন ভাবেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। খাতায় কলমে সংগঠন করা লোকজন ভোট পরিচালনা করলে, ফলাফল এটাই হবে। অন্য দিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কলকাতায় বিজেপির লড়াই অনেক বেশি সঙ্ঘবদ্ধ।