📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া রুটের মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছিল গত ১৫ মার্চ থেকে। এই তিনদিন আগে এই রুটের মেট্রোর দুই মাস পূর্তি হয়েছে। আর এরই মধ্যে বিপুল সংখ্যক যাত্রী এই মেট্রোতে চেপে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের পকেট ভরিয়ে দিয়েছে। এমনকী ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভের রুটকেও হারিয়ে দিয়েছে হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুট।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৫ মার্চ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দুমাসে হাওড়া-এসপ্ল্যানেড রুটে ২৪ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এই অংশটিকে গ্রিন লাইন টু হিসাবে চিহ্নিত করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরনো রুট – শিয়ালদা-সেক্টর ফাইভকে অনায়াসে হারিয়ে দিয়েছে গঙ্গার নীচের মেট্রো রুট।
মেট্রোর পরিসংখ্যান বলছে, গঙ্গীর নীচের মেট্রোতে যেখানে ২৪ লক্ষ যাত্রী চড়েছেন দুই মাসে, সেখানে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদ রুটে মেট্রো যাত্রীর সংখ্যা ২১ লক্ষ। এই আবহে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর লাইন টু-র থেকে বেশি আয় হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। জানা গিয়েছে, শিয়ালদা-সেক্টর ফাইভ রুটে গত দুই মাসে মেট্রোর উপার্জন ৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। আগ এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান রুটে চারটি স্টেশনের পরিষেবাতেই মেট্রোর আয় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ।
মেট্রোর গ্রিন লাইন টু চালু হওয়াতে লোকাল ট্রেনে করে কলকাতায় আসা নিত্যযাত্রীদের খুবই সুবিধা হয়েছে। আগে বর্ধমান, হুগলির মতো জেলা থেকে কলকাতায় কাজে আসা যাত্রীদের হাওড়া স্টেশনে নেমে বাস ধরতে হত। সেখানে ভিড়ের মধ্যে কোনও ভাবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে হত। আর এখন ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো করে গঙ্গার নীচ দিয়ে কলকাতায় চলে যাওয়া যায় কয়েক মিনিটে। আবার সেখান থেকেই ব্লু লাইনে করে শহরের অন্য প্রান্তেও চলে যাওয়া যায়।