📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের পর পরিচয় লোপাটে শরীর থেকে চামড়াও ছাড়িয়ে নেয় আততায়ীরা। কুচি কুচি করে কাটা হয় মাংস। মাংসের টুকরো হলুদ মাখিয়ে প্লাস্টিকে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত বাংলাদেশি সাংসদের দেহের খোঁজে তল্লাশি।গতকালের পর আজ ফের ভাঙড়ে সিআইডি দল। ধৃতকে সঙ্গে নিয়েই কৃষ্ণমাটি ব্রিজ সংলগ্ন খালে তল্লাশি। ধৃত জিহাদ জুবেরকে জেরা করে জানে সিআইডি।
দেহ টুকরো করে নিউটাউনের ভাঙড় এলাকার নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতার কসাই জিহাদ। আর এই কাজের বিনিময়ে ৫ হাজার টাকা পেয়েছে সে। পুলিস কর্মকর্তারা বলেছেন, লাশের টুকরোগুলো যেহেতু জলাশয়ে ফেলা হয়েছে তাই সব অংশ উদ্ধার করা কঠিন। ইতিমধ্যেই তা কোনও না কোনও জলচর প্রাণীর পেটে চলে গিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।
জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আনোয়ারুলকে খুন করার পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল তারা। মুম্বই থেকে কসাই জিহাদকে কলকাতায় আনে মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান। দুই মাস আগে কলকাতায় নিয়ে আসে সে। আখতারুজ্জামান পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। সিআইডি সূত্র জানায়, সন্দেহভাজন, পেশাদার কসাই জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনা জেলার বারাকপুরের বাসিন্দা এবং অবৈধভাবে মুম্বইয়ে ছিল।
বাংলাদেশের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান, সীমান্তকেন্দ্রিক অবৈধ কারবারের বিরোধ থেকে হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বড় অঙ্কের আর্থিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ ছক কষা হয়। তবে কে কার কাছে টাকা পাবেন– এটা নিশ্চিত হতে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। সূত্রটি বলছে, বন্ধু শাহীনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন এমপি আজীম। ওই টাকা দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ করছিলেন না তিনি। ওই টাকা গায়েব করে দিতে হত্যার পরিকল্পনা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনা নিয়েই শুরু দ্বন্দ্ব। স্বর্ণ কারবারের চালান নিয়ে বিরোধের জেরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড।