৫০ দিনের ব্যবধানে দু’টি আয়করের চিঠি, ৭৬ হাজার প্রবীণের হাতে হাতে সেগুলিই বিলোবেন অভিষেক

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: দু-দু’বার, তাও আবার মাত্র ৫০ দিনের ব্যাবধানে আয়কর দফতরের চিঠি হাতে এসেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। এবার সেই চিঠিগুলিকে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ (Diamond Harbour MP)। এক জনসভা থেকে ঘোষণা করেছেন—এই দুটো চিঠির কপিই পৌঁছে যাবে তাঁর সংসদীয় এলাকার ৭৬ হাজার প্রবীণ নাগরিকের বাড়িতে, যাঁদের তিনি নিজে ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ হিসেবে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

ডায়মন্ড হারবারের একটি জনসভায় অভিষেক বলেন, ‘‘আমি ৭৬ হাজার প্রবীণ মানুষকে মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা দিয়েছি, শুধু যাতে তাঁরা স্বছন্দ জীবনযাপন করতে পারেন। বিজেপি ও তাদের আয়কর দফতর জানতে চাইছে কেন আমি টাকা দিলাম। তাই আমাকে দু’বার চিঠি পাঠানো হয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এটাই বিজেপির আসল রূপ। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে! তাই সবাইকে জানাতে চাই, বিজেপি (BJP) কীভাবে বাধা সৃষ্টি করছে। পুজোর আগেই দলের কর্মীদের দায়িত্ব দেব—এই চিঠিগুলি যেন ওই ৭৬ হাজার মানুষের হাতে পৌঁছে দেয়।’’

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডায়মন্ড হারবারে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ‘বার্ধক্য ভাতা’ প্রকল্প চালু করেন অভিষেক। সেই উদ্যোগ ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই ভাতার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি পাঠান আয়কর দফতরের গোয়েন্দা ও তদন্ত শাখার প্রধানের কাছে। এর কিছুদিন পরেই অভিষেকের কাছে একের পর এক চিঠি আসে—প্রথমটি ৭ জানুয়ারি, দ্বিতীয়টি ২৪ ফেব্রুয়ারি।

অভিষেক বলেন, ‘‘গরিব মানুষের হাতে টাকা পৌঁছেছে বলেই আমার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের সংস্থাগুলি সক্রিয় হয়েছে। গরিবের মুখে হাসি ফোটানোই যদি অপরাধ হয়, তবে সেই অপরাধ আমি করে যাব।’’

এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কৌশল, বিজেপির ‘প্রকৃত মুখ’ জনসমক্ষে তুলে ধরা। তাই অভিষেক এবার সেই চিঠিগুলিকে হাতিয়ার করে জানাতে চাইছেন—কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে। দলের কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে এই চিঠিগুলি প্রবীণদের হাতে তুলে দিন। যাঁদের জন্য এই টাকা পাঠানো হয়েছিল, তাঁরাই জানবেন—কারা তা বন্ধ করতে চাইছে।”

error: Content is protected !!